সংযুক্ত আরব আমিরাত ও পাকিস্তানের কাছে পরপর দুটি সিরিজ হেরে হতাশ ফিল সিমন্স। তবে সেই হতাশার মাত্রা ততটা তীব্র নয়, যতটা হতে পারত দল আরও গোছানো থাকলে। বাংলাদেশ কোচের মতে, দল এখন পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বলেই সিরিজ পরাজয়ের ক্ষত খুব গভীর নয়। সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রথম ম্যাচ জয়ের পর অভাবনীয়ভাবে সিরিজ হেরে যাওয়া বাংলাদেশ হোয়াইটওয়াশড হয়েছে পাকিস্তানে গিয়ে। শেষ ম্যাচে গত রোববার ১৯৭ রান তাড়ায় পাকিস্তান জিতে যায় ৭ উইকেটে। সিরিজ শেষে সংবাদ সম্মেলনে সিমন্স বললেন, এই দল নিয়ে হারের হতাশার পরিধি খুব বড় নয় তার। তিনি বলেন যে কোনো সিরিজ হারই হতাশাজনক। আমরা যেখানে আছি, আমরা চেষ্টা করছি কিছু গড়ে তুলতে। চেষ্টা করছি কিছু ব্যাপার বদলাতে। দলে তরুণ ক্রিকেটার আছে বেশ কিছু। হতাশা দলে আছে। তবে ততটা নয়। থিতু একটা দল নিয়ে হারলে যতটা লাগত। সিরিজ হার অবশ্যই হতাশাজনক। তবে সেটা ততটা খারাপ নয়। আমরা গুছিয়ে নেওয়ার পর হারলে যতটা হতো। দুই সিরিজের কোনোটিতে যেতে পারেননি ইনজুরি কাটিয়ে মাঠে ফেরার লড়াইয়ে থাকা তাসকিন আহমেদ। ইনজুরির কারণে পাকিস্তানে যাননি মুস্তাফিজুর রহমান। নাহিদ রানা নিজেই সরে দাঁড়িয়েছেন সফর থেকে। কোচ বললেন, তাসকিন ও মুস্তাফিজের মতো অভিজ্ঞ বোলারদের শূন্যতা সিরিজজুড়ে অনুভব করেছে দল।
মুস্তাফিজুর রহমানের মতো একজনের অভাব যে কোনো দলই অনুভব করত। বিশেষ করে, এই উইকেটে তার স্কিলের অভাববোধ হবেই। নাহিদ রানা তুলনামূলক তরুণ। মাত্রই টি–টোয়েন্টি দলে এসেছে। ততটা অভিজ্ঞ নয় এখনও। তবে ফিজ, তাসকিন, ওদেরকে অবশ্যই মিস করেছে দল। এরপর দ্বিতীয় ম্যাচের প্রথম ওভারে উঠে যেতে হলো মূল বোলারদের আরেকজন শরিফুল ইসলামকে। সেদিক থেকে আমাদের জন্য কঠিন সিরিজ ছিল। হতাশায় মোড়ানো সিরিজে কিছু প্রাপ্তিও দেখছেন কোচ সিমন্স। তিনি বলেন সবচেয়ে ইতিবাচক হলো, আমরা চেষ্টা করছিলাম এই উদ্বোধনী জুটি কার্যকর করতে। শেষ ম্যাচে তারা দেখিয়েছে, একসঙ্গে কতটা বিধ্বংসী হতে পারে ওরা। আমরা চেষ্টা করছি, এই ধরনের উইকেটে যা করণীয়, আমাদের পেসাররা যেন করতে পারে। কারণ বাংলাদেশে এই ধরনের উইকেট খুব একটা আমরা পাই না। সিরিজজুড়ে এই ব্যাপারগুলি করার চেষ্টা করছিলাম আমরা।
লাহোরে গত রোববার শেষ টি–টোয়েন্টিতে ১১০ রানের জুটি গড়েন তানজিদ হাসান ও পারভেজ হোসেন ইমন। আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সেরা উদ্বোধনী জুটি সেটি। তাতেও লাভ হয়নি দলের। আর দিন দশেক পরই বাংলাদেশ দল শ্রীলঙ্কায় যাবে সিরিজ খেলতে। টেস্ট দিয়ে শুরু সফরে পরে আছে ওয়ানডে ও টি–টোয়েন্টিও। এই সফরের আগে দল আরও শাণিত হয়ে উঠবে বলেই বিশ্বাস কোচের। অবশ্যই দ্রুত উন্নতি করতে চাইব আমরা। সাদা বলের সিরিজের আগে দুটি টেস্ট ম্যাচ আছে শ্রীলঙ্কায়। সেই সিরিজ চলতে থাকার সময় অন্য কাজও চলতে থাকবে। উন্নতি তাই করতে হবেই। শেষ ম্যাচে আমরা দেখেছি, ব্যাটিং বেশ প্রাণবন্ত ছিল । যেমটা আমরা দেখতে চাই। অনেক কিছু গুছিয়ে উঠছে।