মূল্যস্ফীতি কমে ২৭ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন

| মঙ্গলবার , ৩ জুন, ২০২৫ at ১১:২৪ পূর্বাহ্ণ

সদ্য শেষ হওয়া মে মাসে শহর পর্যায়ে খাদ্য কেনায় খরচ কিছুটা বাড়লেও গ্রামে কমেছে। তবে শহর ও গ্রাম দুই জায়গাতেই খাদ্য বহির্ভূত খাতে খরচ কমার তথ্য দিয়েছে সরকার, যার প্রভাব পড়েছে সার্বিকভাবে মূল্যস্ফীতিতেও।

গতকাল সোমবার প্রকাশিত বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য বলছে, গেল মে মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ০৫ শতাংশ, যা ২৭ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। মূল্যস্ফীতির হার এর চেয়ে কম ছিল সবশেষ ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে, ৮ দশমিক ৮৭ শতাংশ। এরপর থেকেই চড়তে থাকে মূল্যস্ফীতির হার, যা আর ৯ শতাংশের নিচে নামেনি। খবর বিডিনিউজের।

এর আগে গতবছরের মে মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ। সে বছর আন্দোলনের মাস জুলাইয়ে মূল্যস্ফীতি ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশে পৌঁছায়।

চলতি বছরের শুরুর মাস জানুয়ারিতে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার এক অঙ্কের ঘরে নেমে ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ হয়; ফেব্রুয়ারিতে এসে তা আরও কমে দাঁড়ায় ৯ দশমিক ৩২ শতাংশে। মার্চে তা আবার সামান্য বাড়ার পর এপ্রিলে আরও কিছুটা কমে, সেই ধারা অব্যাহত থাকল মে মাসেও।

পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যে দেখা যায়, গত এপ্রিলে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ৬৩ শতাংশে ছিল, মে মাসে সেটি আরও কমে ৮ দশমিক ৫৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। খাদ্য বহির্ভূত খাতে মে মাসে মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৪২ শতাংশ, যা এপ্রিলে ছিল ৯ দশমিক ৬১ শতাংশ।

বিবিএসের তথ্যানুযায়ী, মে মাসে শহরের খাদ্য কেনায় খরচ এপ্রিলের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। এই খাতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ২৯ শতাংশ, যা এপ্রিলে ছিল ৯ দশমিক ১৩ শতাংশ ছিল।

অন্যদিকে গ্রামে খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমেছে। মে মাসে হয়েছে ৮ দশমিক ৩০ শতাংশ, যা এপ্রিলে ছিল ৮ দশমিক ৪০ শতাংশ।

আর খাদ্য বহির্ভূত খাতে গ্রাম এবং শহর দুই জায়গাতেই কমেছে। গ্রামে খাদ্য বহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতি এপ্রিলের ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ থেকে কমে মে মাসে ৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ হয়েছে। শহরে খাদ্য বহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতি এপ্রিলের ৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ থেকে কমে মে মাসে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৬৩ শতাংশে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজলাবদ্ধতা নিরসনে খাল-নালায় জলপ্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে হবে : মেয়র
পরবর্তী নিবন্ধশহীদ জিয়া না হলে এদেশ স্বাধীন হত না