ঘুরে দাঁড়াতে পেরেই তৃপ্ত তাইজুল সমালোচকদের নিলেন এক হাত

ক্রীড়া প্রতিবেদক | মঙ্গলবার , ২৯ এপ্রিল, ২০২৫ at ১১:৩৯ পূর্বাহ্ণ

সন্দেহ নেই দেশের সেরা স্পিনার তাইজুল ইসলাম। বারবার তিনি তা প্রমাণ করেছেন। অনেকবার দলকে জিতিয়েছেন তার ঘূর্ণি দিয়ে। গতকাল যেমন তারই ঘূর্ণিতে ম্যাচের নিয়ন্ত্রন নিয়ে নিয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচের ব্যর্থতা মেনে নিয়ে এবার ৫ উইকেট পাওয়ার সন্তুষ্টি বেশ আনন্দ নিয়েই বললেন এই বাঁহাতি স্পিনার। ঘুরে দাড়াতে পেরে যেমন তৃপ্ত তেমনি সমালোচনার জবাব দিলেন বেশ কড়া ভাষায়। চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিনে তাইজুলের স্পিনেই দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। শেষ সেশনে দুর্দান্ত বোলিংয়ে ক্যারিয়ারে ১৬ বারের মত পাঁচ উইকেটের স্বাদ পেয়েছেন তাইজুল। সবশেষ ছয় টেস্টে এই স্পিনারের এটি চতুর্থবার পাঁচ উইকেট নেওয়া । এক ম্যাচ আগেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের মনে রাখার মতো জয়ে ম্যাচসেরা হয়েছিলেন তাইজুল। এরপর দারুণ ছন্দে থেকে জিম্বাবুয়ে সিরিজ শুরু করলেও সিলেটে ভালো করতে পারেননি । প্রথম ইনিংসে ১০ ওভারে ৫৩ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য। পরের ইনিংসে ৭০ রানে নেন দুই উইকেট। মাত্র দুই উইকেট পাওয়ার ম্যাচে বোলিংও তেমন ভালো করতে পারেননি তাইজুল। চট্টগ্রামে প্রথম দিন ঘুরে দাঁড়িয়ে তার শিকার ৬০ রানে ৫ উইকেট। প্রথম দুই সেশনে দাপট দেখানো জিম্বাবুয়ের ইনিংস বেশিদূর এগোয়নি তাইজুলের কারণেই।

দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে নিজের প্রথম ম্যাচের ব্যর্থতা মেনে নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর ভালো লাগা প্রকাশ করেন অভিজ্ঞ এই স্পিনার। তিনি বলেন অবশ্যই এটা তৃপ্তির একটা বিষয়। কারণ সিলেটে আমি যেভাবে বোলিং করেছি সেটা পঞ্চাশ টেস্ট খেলে ফেলা কারও জন্য ভালো কিছু নয়। তারপর ঘুরে দাঁড়িয়েছি। এটা ভালো লাগার বিষয়। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো দলকে সাহায্য করতে পেরেছি। এটা অবশ্যই তৃপ্তির বিষয়। প্রথম টেস্টে তাইজুলের বিবর্ণ বোলিংয়ের কড়া মাশুল দিতে হয়েছে বাংলাদেশকেও। স্পিনে মেহেদী হাসান মিরাজকে যথার্থ সমর্থন তিনি দিতে পারেননি। প্রথম ইনিংসে বড় লিডই পায় জিম্বাবুয়ে। সেই দূরত্ব ঘুচিয়ে আর ম্যাচ জিততে পারেনি স্বাগতিকরা। ম্যাচ শেষে সেদিন জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন বলেছিলেন, নিজের সেরা বোলিং করতে পারেননি তাইজুল। এর বাইরে সামাজিক মাধ্যমে কমবেশি সমালোচনার শিকার হন তিনি। এই প্রসঙ্গে তাইজুলের কাছে জানতে চাওয়া হয়, একটু খারাপ করলেই অনেক সমালোচনা সইতে হয় কি না। জবাবে সমালোচনাকারীদের ক্রিকেট জ্ঞান নিয়েই প্রশ্ন তোলেন ৩৩ বছর বয়সী এই স্পিনার। তিনি বলেন আমার কাছে মনে হয়, এতগুলো টেস্ট খেলার পর এ ধরনের সমালোচনা সইতে হওয়াটা অবশ্যই কষ্টের। আমার ক্যারিয়ারে যতগুলো উইকেটই হয়েছে সেটা সহজে আসেনি। অবশ্যই কষ্টের ফসল। কিন্তু একটা ম্যাচ দেখে যারা সমালোচনা করে, আমার মনে হয় না তারা ক্রিকেট খেলা বোঝে। যদি বুঝত তাহলে এ ধরনের সমালোচনা করতেননা। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পঞ্চমবারের মত ইনিংসে ৫ উইকেট নিলেন তাইজুল। গতকালের ম্যাচে শুরুর দিকে ভাল বোলিং করতে না পারলেও সময় গড়ানোর সাথে সাথে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেন তাইজুল। আর তাতেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রন বাংলাদেশের হাতে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম টেস্টে স্কুল শিক্ষার্থীদের জন্য ফ্রি টিকিট
পরবর্তী নিবন্ধইতিহাস সৃষ্টির পথে শাহরুখ!