লাইসেন্স পেল স্টারলিংক

| মঙ্গলবার , ২৯ এপ্রিল, ২০২৫ at ১০:১৪ পূর্বাহ্ণ

এনজিএসও সেবা দেওয়া মার্কিন প্রতিষ্ঠান স্টারলিংকের লাইসেন্সে অনুমোদন দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল সোমবার তিনি এ অনুমোদন দেন বলে তার কার্যালয় থেকে দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) গত ২৫ মার্চ ‘ননজিওস্টেশনারি অরবিট (এনজিএসও) স্যাটেলাইট সার্ভিসেস অপারেটর ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক লাইসেন্সিং গাইডলাইন জারি করে। ওই গাইডলাইনের আওতায় স্টারলিংক সার্ভিসেস বাংলাদেশ ননজিওস্টেশনারি অরবিট (এনজিএসও) স্যাটেলাইট সার্ভিসেস অপারেটর লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য ফি ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ বিটিআরসিতে আবেদন করে। প্রতিষ্ঠানটির অনুকূলে আবেদনকৃত লাইসেন্স ইস্যুর জন্য গত ২১ এপ্রিল ২৯৪তম কমিশন সভায় নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। খবর বিডিনিউজের।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্টারলিংক বাংলাদেশের ইন্টারনেটে নতুন সংযোজন। শ্রীলংকার পরে দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় দেশ হিসেবে বাংলাদেশে বৈশ্বিক এ স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান যাত্রা শুরু করল।

এ প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ এবং তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের উপর্যুপরি ইন্টারনেট বন্ধের প্রতিবাদে স্টারলিংককে বাংলাদেশে নিয়ে আসা একটা গণদাবিতে পরিণত হয়েছিল। পাশাপাশি বাংলাদেশকে বিনিয়োগবান্ধব হিসেবে একটা বার্তা পৌঁছে দেওয়ার ইচ্ছা ছিল প্রধান উপদেষ্টার। বাংলাদেশের হাওরবাওড় দ্বীপাঞ্চলে, দুর্গম পার্বত্য এলাকায়, বিশেষভাবে উপকূলীয় দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন এবং মানসম্পন্ন ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেওয়ার চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তিনি বলেন, যেসব অঞ্চলে এখনো ফাইবার পৌঁছেনি, সেখানে দ্রুত সময়ে মানসম্পন্ন ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়ার চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান উপদেষ্টা স্বউদ্যোগী হয়ে স্পেইসএঙ সিইও ইলন মাস্ককে ফোন করে ৯০ দিনের মধ্যে স্টারলিংককে বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করার আহ্বান জানান। এ লক্ষ্য অর্জনে বিডা, বিটিআরসি, ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় নিবিড়ভাবে কাজ করেছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহাবিব স্টিল লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও এমডির এক বছরের কারাদণ্ড
পরবর্তী নিবন্ধখাগড়াছড়ির ‘নিউজিল্যান্ড’ যে সড়ক বাড়িয়েছে মুগ্ধতা