পটিয়ার দক্ষিণ ভূর্ষিতে সড়কের দু’পাশে প্রাকৃতিক শোভা বর্ধনকারী বিভিন্ন পাহাড়ি গাছ ও সামাজিক বনায়নে প্রভাবশালীদের কু–নজর পড়েছে। ইতিমধ্যেই উপজেলার ১৩ নং দক্ষিণ ভূর্ষি ইউনিয়নে সড়কের দু’পাশের বেশ কয়েকটি গাছ কেটে সাবাড় করেছে একদল প্রভাবশালী। তবে পটিয়ার সহকারী কমিশনার ভূমি ও বনভিাগের ডিএফও–এর হস্তক্ষেপে আরো দুই শতাধিক গাছ রক্ষা পায়।
স্থানীয়রা জানায়, দক্ষিণ ভূর্ষি ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় আলোড়ন যুব সংঘের অধীনে ১৯৯১ সালে নয়াবাড়ী রাস্তার মাথা থেকে দক্ষিণ ভূর্ষি উচ্চ বিদ্যালয় রাস্তার মোড় পর্যন্ত বৃক্ষরোপণ করা হয়। প্রায় গাছ এখন অনেক পরিপূর্ণ ও এলাকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে। এখানে সেগুন, মেহগনি, আকাশমনি, ঝাউসহ নানা প্রজাতির ২৩০টি গাছ রয়েছে।
স্থানীয় সমাজকর্মী মো. গোলাম কিবরিয়া টিপুর অভিযোগ, গত ১ সপ্তাহ ধরে এলাকার একটি কুচক্রী মহল রাস্তার দু’পাশের প্রায় ১৪/১৫টি গাছ কেটে ফেলে। তারা বাকি গাছ কাটার চেষ্টা করলেও জনগণের বাধার মুখে পিছু হটে। তারা গাছগুলো কাটতে প্রতিরাতেই এলাকায় আসছে। তিনি আরো বলেন, আমরা এলাকাবাসীর পক্ষে জেলা প্রশাসক, উপজেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে গাছগুলো রক্ষার জন্য আবেদন করেছি। তারপরও কুচক্রী মহলটি থেমে নেই। তারা প্রতিরাতেই গাছ কাটতে এলাকায় আসছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, আরিফ নামের এক গাছ ব্যবসায়ী গাছগুলো কাটার জন্য কন্ট্রাক্ট করেছেন। তার সাথে যুক্ত রয়েছেন আনোয়ার, রুবেল, আব্দুর রহিম, মোহাম্মদ নাছির ও রাজিব নামের কয়েকজন। তারা এলাকাবাসীকে হুমকি দিচ্ছেন যাতে গাছ কাটার বিষয়ে কথা না বলে।
এ বিষয়ে তাদের সাথে বারবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারহানুর রহমান জানান, গাছ কাটার বিষয়ে একটি অভিযোগ পাওয়ার পর বনবিভাগের লোকজনকে সেখানে পাঠানো হয়েছিল। এখন গাছ কাটা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে কেউ এ গাছ কাটলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।