নগরীর বিভিন্ন মার্কেটে আইন–শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন সিএমপি কমিশনার হাসিব আজিজ। গতকাল রোববার তিনি নগরীর তামাকুমণ্ডি লেইন, জহুর হকার্স মার্কেট, টেরীবাজার ও বিপণি বিতান পরিদর্শন করেন।
বিভিন্ন মার্কেট পরিদর্শনকালে তিনি মার্কেটগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরখ করেন এবং আগত দর্শনার্থী ও ক্রেতা সাধারণের সাথে কথা বলেন। পাশাপাশি ব্যবসায়ী ও দোকান মালিক সমিতির প্রতিনিধিদের সাথেও কথা বলেন। এ সময় তিনি তামাকুমণ্ডি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের কাছ থেকে ভাসমান হকার, যানজট, বাইক রাইডারদের যত্রতত্র অবস্থান ও কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত সংক্রান্ত সমস্যাগুলো শোনেন এবং এগুলো সমাধানের জন্য তাৎক্ষণিক সংশ্লিষ্ট ডিসি–ওসিদের নির্দেশ দেন। এছাড়া ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় বিশেষ করে অ্যাক্সেস রোডগুলো যানজটমুক্ত রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
মার্কেটের বিভিন্ন দোকানে ঘুরে উপস্থিত ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সাথে আলাপ শেষে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সংক্রান্ত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পবিত্র রমজান উপলক্ষে নগরীর সব মার্কেটে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বিভিন্ন স্তরে নিরাপত্তা বলয় সৃষ্টি করা হয়েছে। নগরবাসী যাতে নিশ্চিন্তে শপিং করতে পারে এবং উৎসবমুখর পরিবেশে পবিত্র ঈদ উদযাপন করতে পারে সেজন্য চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে আছে।
তিনি বলেন, ছিনতাই ও চাঁদাবাজি রোধকল্পে সিটিজেন ফোরাম, বৈষ্যম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে ওয়ার্ডভিত্তিক তালিকা প্রস্তুতপূর্বক প্রতিনিয়ত উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ছিনতাইকারী ও চাঁদাবাজকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে।
পরিদর্শনকালে তার সঙ্গে ছিলেন উপ–পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) শাকিলা সোলতানা, মোহাম্মদ লিয়াকত আলী খান, কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল করিমসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
এ সময় টেরীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবদুল মান্নান বাজারের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরেন। সিএমপি কমিশনার ব্যবসায়ীদের আশ্বস্ত করে বলেন, ঈদ উপলক্ষে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সিএমপি সর্বোচ্চ প্রস্তুত রয়েছে। যানজট নিরসন ও আইন–শৃক্সখলা রক্ষায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনসহ প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।