রাষ্ট্র সংস্কারে কমিশনগুলোর দেওয়া সুপারিশের কোনো কিছুই ঐকমত্য ছাড়া গ্রহণযোগ্য হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল রোববার সকালে শেরে বাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, আমরা এসব রিপোর্ট নিয়ে এখনই কোনো মন্তব্য করতে চাই না। এজন্য যে, পুরো রিপোর্ট আমাদের কাছে এসে পৌঁছেনি। খবর বিডিনিউজের।
ছাত্র–জনতার আন্দোলনে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হয় আওয়ামী লীগ সরকার। দেশে হাল ধরার পর অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কারের উদ্যোগ নিয়ে দুই ধাপে ১১টি কমিশন গঠন করে। চলতি বছর ১৫ জানুয়ারি প্রথম ধাপের ছয় কমিশনের মধ্যে চারটির প্রতিবেদন জমা পড়েছে। এ মাসের মধ্যে বাকি দুই কমিশনের প্রতিবেদন দেওয়ার কথা রয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এখানে সরকার যে বলেছে এবং পরিকল্পনা করেছে, রিপোর্টগুলো পাওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তারা আলোচনা করবে এবং তারপরেই সিদ্ধান্ত হবে। ঐকমত্য ছাড়া কোনোটাই গ্রহণযোগ্য হবে না।
জুলাই–আগস্টের মধ্যে বিএনপি জাতীয় নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে। কিন্তু কোনো কোনো পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে, এই দাবিটি অবাস্তব। এত দ্রুত নির্বাচন ও সংস্কার সম্ভব নয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা বরাবর এক কথা বলে এসেছি যে, সংস্কার এবং নির্বাচনের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই। সংস্কারও চলবে, নির্বাচন হবে এবং যে দল সরকারে আসবে তারা সংস্কারগুলোকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আমরা আমাদের দলের পক্ষ থেকে পরিষ্কার করে বলতে পারি যে, আমরা প্রতিটি সংস্কারকে এগিয়ে নিয়ে যাব।
সকাল ১১টায় বিএনপি মহাসচিব দলের নেতা–কর্মীদের নিয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পুস্পমাল্য অর্পণ করেন। তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করেন নেতা–কর্মীরা। জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি দিনব্যাপী কর্মসূচি পালন করছে।
দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের বর্ণাঢ্য জীবন–কর্ম তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, সিপাহী–জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে তিনি যখন রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে এসেছিলেন, তখন তিনি একটি আধুনিক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মাণের জন্য খুব অল্প সময়ের মধ্যে সমস্ত ক্ষেত্রে নতুন করে সংস্কার কাজ শুরু করেছিলেন। জিয়াউর রহমান প্রথম বাংলাদেশে সংস্কার শুরু করার বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, তিনি একদলীয় শাসনব্যবস্থা থেকে বহুদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করেছিলেন। তিনি বদ্ধ অর্থনীতিকে মুক্তবাজার অর্থনীতির পরিকল্পনা চালু করেন, কৃষিতে বিপ্লব হয়েছিল।