বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি এ এইচ এম হামিদুর রহমান আজাদ বলেছেন, চট্টগ্রাম ভৌগোলিক, বাণিজ্যিক এবং আরো বিভিন্ন কারণে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জামায়াত এদেশকে কোরআন সুন্নাহর ভিত্তিতে পরিচালিত করতে চায়। দেশে ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে চায়। দেশকে নেতৃত্ব দেয়া মানে একটা জবাবদিহিতার মুখোমুখি হওয়া। সমাজ ও রাষ্ট্রকে কুরআন সুন্নাহর আলোকে গড়ে তুলতে হবে। আগামীর বাংলাদেশ হবে ন্যায়–ইনসাফের বাংলাদেশ ইনশাআল্লাহ। গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টায় চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজারস্থ কিশলয় কার্যালয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীর বার্ষিক পরিকল্পনা ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য, চট্টগ্রাম মহানগরী আমীর শাহজাহান চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও চট্টগ্রাম মহানগরী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিনের সঞ্চালনায় প্রোগ্রামে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও নির্বাহী পরিষদ সদস্য মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান। এতে দারসূল কুরআন পেশ করেন আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের সাবেক প্রো–ভিসি ড. আবু বকর রফিক আহমদ।
এতে আরও উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য, চট্টগ্রাম মহানগরী নায়েবে আমীর মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য, চট্টগ্রাম মহানগরী সহকারী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা খায়রুল বাশার, মুহাম্মদ উল্লাহ, ফয়সাল মুহাম্মদ ইউনুস ও মোরশেদুল ইসলাম চৌধুরী, মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য আবু হেনা মোস্তফা কামাল, মুহাম্মদ আবু বকর ছিদ্দিক, ডা. সিদ্দিকুর রহমান, মাওলানা মমতাজুর রহমান, প্রফেসর মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ, হামেদ হাসান ইলাহী প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে হামিদুর রহমান আজাদ আরও বলেন, জামায়াতে ইসলামী এমন এক বৈষম্যহীন ও ইনসাফপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে চায় যে সমাজে কেউ না খেয়ে থাকবে, আর কেউ অবৈধভাবে সম্পদ গড়ে বিদেশে পাচারের মাধ্যমে অর্থবিত্তের পাহাড় জমাবে এমন হবে না। আর কুরআন–সুন্নাহর আইনের মাধ্যমে এমন শান্তির সমাজ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। তিনি ক্ষুধা, দারিদ্র ও বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস চালানোর আহবান জানান। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।