রাঙ্গুনিয়ায় আমেনা খাতুন (২৮) নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের পিতা থানায় হত্যা মামলা দিলে পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করে গতকাল শুক্রবার সকালে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। নিহত আমেনা খাতুন উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড দুধ পুকুরিয়া পূর্ব পাহাড় গফুর বাদশার বাড়ি এলাকার আবদুল গফুর ড্রাইভারের স্ত্রী। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী পলাতক রয়েছেন বলে জানায় পুলিশ।
জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার সকাল দশটার দিকে শ্বশুর বাড়ির নিজ কক্ষ থেকে আমেনা খাতুনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূর পিতা মো. হাছি মিয়া বাদী হয়ে একইদিন রাতে দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে নিহতের স্বামী আবদুল গফুরকে প্রধান আসামি করে ৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং অজ্ঞাতনামা আসামি দেয়া হয়েছে। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে স্বামীর দ্বিতীয় বউয়ের বড় বোন একই এলাকার মো. মোনাফের স্ত্রী আমেনা বেগমকে (৩০) গ্রেফতার করে।
নিহতের স্বজনরা জানান, ২০১৫ সালে সাতকানিয়া সদর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড ছোট বারঘোনা এলাকার হাছি মিয়ার মেয়ে আমেনা খাতুনের সাথে রাঙ্গুনিয়ার ট্রাক ড্রাইভার আবদুল গফুরের বিয়ে হয়। তাদের ৪ মাস বয়সী এক মেয়ে, ৪ ও ৭ বছর বয়সী দুই ছেলে সন্তান রয়েছে। গত ৫ মাস আগে স্বামী আবদুল গফুর গোপনে বিয়ে করেন। এ নিয়ে তাদের পরিবারে অশান্তি সৃষ্টি হয়।
নিহতের মামা মো. জাফর জানান, তার ভাগ্নি সাতকানিয়ায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। দ্বিতীয় বিয়ের পর জানাজানি হয়ে গেলে বিষয়টি বসে সমাধান করার কথা ছিলো। এরমধ্যে ২য় স্ত্রী ভিকটিম আমেনাকে ফুসলিয়ে ভাড়া বাসা থেকে শ্বশুর বাড়ি নিয়ে যায় এবং পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে বলে দাবি করেন জাফর। এরসাথে মেয়ের শ্বশুর বাড়ির সবাই জড়িত উল্লেখ করে তিনি সবার শাস্তির দাবি জানান।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার এসআই ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. সুজাউদ্দৌলা বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে বিছানায় শোয়া অবস্থায় পাওয়া গেছে। কোন আলামত পাওয়া যায়নি। তবে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। রিপোর্ট এলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। তবে থানায় হত্যা মামলা নেয়া হয়েছে। একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকীদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।