মহেশখালীতে নারী সংক্রান্ত ঘটনার জের ধরে এক যুবককে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায় ১৫/২০ জনের একদল সন্ত্রাসী এসে রাতের অন্ধকারে নুরুনবী (২১) নামের এক যুবককে ছুরিকাঘাতে খুন করেছে।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দিবাগত রাত আনুমানিক ১ টায় উপজেলার ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ মাইজপাড়ায় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত যুবক একই এলাকার মো. ফরিদ আলমের পুত্র।
এ ঘটনায় কালা বাশি, সাইফুল, ফরিদ, ইব্রাহীম, মকসুদ, নুর আহম্মদ, তারেকসহ আরও কয়েকজন আহত হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন মহেশখালী থানার ওসি কাইছার হামিদ।
এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান- গতরাতে স্থানীয় শফি আলমের কিশোরী মেয়ে ও ছোট মহেশখালীর সিপাহী পাড়ার সাগর নামে এক যুবকের রাতে অসামাজিক কার্যকলাপের সময় স্থানীয়রা দেখলে তাদেরকে ধৃত করে।
পরে স্থানীয় বাসিন্দারা মেয়ের চাচা ফরিদুর আলমের নেতৃত্বে মেয়ের পিতা শফি আলমকে বিষয়টি জানিয়ে তাদের হাতে মেয়ে-ছেলে তুলে দেন। এমন অসামাজিক কার্যকলাপ না করার জন্য অনুরোধ করে তারা রাত ১২ টার দিকে চলে আসেন।
এ ঘটনা এলাকায় জানাজানি হলে সম্মানহানি করার ক্রোধে শফি আলম ও তার ভাই নুরুল আলম মিলে সাগরের নেতৃত্বে সিপাহী পাড়া ও আর্দশ গ্রাম থেকে ১৫-২০ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী এনে ফরিদুল আলমের বাড়িতে হামলা চালায়।
পরে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা নুরুনবীসহ এঘটনা কালা বাশি, সাইফুল, ফরিদ, ইব্রাহীম, মকসুদ, নুর আহম্মদ, তারেকসহ আরও কয়েকজনকে মারাত্মকভাবে জখম করে পালিয়ে যায়।
পরে স্থানীয়রা আহত নুরুনবীকে উদ্ধার করে মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এই ঘটনায় স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল হোসেন জানান, শফি আলমের মেয়ে ও সিপাহী পাড়ার সাগর নামে এক যুবক প্রেমের সম্পর্কে রাতে দেখা করতে আসলে তাদেরকে স্থানীয়রা ধরে পেলে।
এ ঘটনার জেরে মেয়ের পিতা-চাচা ও প্রেমিক যুবক মিলে ১৫-২০ সন্ত্রাসী এনে হামলা চালিয়েছে বলে শুনেছি। এ ঘটনা নুরুনবী নামে একজন নিহত ও আর কয়েকজন আহত হয়েছে শুনেছি। বিষয়টি মহেশখালী থানাকে অবগত করা হয়েছে।
মহেশখালী থানার ওসি কাইছার হামিদ বলেন, এ ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং লাশটি উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট সংগ্রহ করে ময়নাতদন্তের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এঘটনায় যারা জড়িত তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
ঘটনার পর থেকে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবী স্থানীয়দের।