চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার মইজ্জ্যারটেক এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৫টি দোকান পুড়ে প্রায় ২০-২২ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৩টার দিকে কর্ণফুলী উপজেলার মইজ্জ্যারটেক মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানান, রাত আনুমানিক সাড়ে ৩টার দিকে মইজ্জ্যারটেক মো. বাদশার ফলের দোকান থেকে আগুনের সূত্রাপাত হয়ে মুহূর্তের মধ্যে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। তবে আগুনে সূত্রপাত্র সঠিক কারণ জানা যায়নি। ফায়ার সার্ভিস ও ব্যবসায়ীদের দাবি বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত্র হয়। কিন্তু স্থানীয়রা বলছেন মশার কয়েল থেকে আগুন লাগে।
এতে মো. বাদশাহের ফলের দোকান, মো. বেলালের মোবাইলের দোকান, ছোটন দে এর সিএনজি ওয়ার্কসপ, পেয়ার আহমদের কুলিং কর্ণার ও নুরুল আকতারের কুলিং কর্ণারসহ ৫টি দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে গিয়ে ২০-২২ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদার মো. বেলাল বলেন, রাতে দোকান বন্ধ করে বাসায় গিয়ে ঘুমিয়েছিলাম। হঠাৎ ফোন আসে দোকানে আগুন লেগেছে। পরে এসে দেখি সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেল। ধার-কর্য করে দোকান করেছি। জানিনা এখন কি হবে। আমার ৮ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
সিএনজি ওয়ার্কসপের মালিক ছোটন দে বলেন, আমার বাড়ি রাউজান, কর্ণফুলীতে ওয়ার্কসপের দোকান করে কোনোমতে ঘরসংসার চালাই। এখন সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ঋণ করে দোকানটি দিয়েছিলাম। এতে আমার ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে কর্ণফুলী মডার্ণ ফায়ার স্টেশনের দায়িত্বরত কর্মকর্তা অভি বড়ুয়া বলেন, খবর পেয়ে আমাদের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা এখন নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরির কাজ চলছে।
এর আগে, গত রোববার রাতে উপজেলার চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের শাহ ছমিউদ্দিন ফারুকীর মাজারের পাশে আগুনে মো. সাইফুল ইসলাম ও মো. শাহাজাহান নামের দুই ভাইয়ের দোকান পুড়ে যায়।