৫ পয়েন্টে বাইপাস ও ফ্লাইওভার নির্মাণ প্রকল্পে পরামর্শক নিয়োগের কাজ শুরু

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক । ডিটেইল ডিজাইনের পর শুরু হবে ভূমি অধিগ্রহণ

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ১৪ নভেম্বর, ২০২৪ at ৮:১২ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামকক্সবাজার মহাসড়কের ৫টি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বাইপাস ও ফ্লাইওভার নির্মাণ প্রকল্প প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে। ২৫ কিলোমিটারে ৫টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বাইপাস নির্মাণে জাইকার সাথে ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদনের পর পরামর্শক নিয়োগের কাজ চলছে। পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের ডিটেইল ডিজাইনের পর শুরু হবে ভূমি অধিগ্রহণ। ২০২৫ সালের মাঝামাঝিতে টেন্ডার আহ্বান করার কথা জানিয়েছেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এবং এই প্রকল্পের পরিচালক শ্যামল কুমার ভট্টাচার্য্য।

প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, এ প্রকল্পে মোট ব্যয় হবে ৮ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জাইকা ঋণ দিচ্ছে ৫ হাজার কোটি টাকা। ভূমি অধিগ্রহণে ব্যয় ২ হাজার থেকে আড়াই হাজার কোটি টাকা। ভূমি অধিগ্রহণের এই টাকা দেয়া হবে সরকারি ফান্ড থেকে।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, চট্টগ্রামকক্সবাজার মহাসড়কটি ছয় লেনে উন্নীত করণের কাজ সহজে হচ্ছে না। এই অবস্থায় গভীর সমুদ্রবন্দরের পণ্যবাহী গাড়ি এবং কক্সবাজারমুখী পর্যটকদের বিপুল গাড়ির চাপ সামাল দিতে এই মহাসড়কে ৪টি বাইপাস এবং একটি ফ্লাইওভার নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সরকার। জাপানের বিশেষ অর্থায়নে চট্টগ্রামকক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া বাইপাসকে আরো চওড়া (৬ লাইনে) উন্নিত করা, দোহাজারী বাজার বাইপাস, সাতকানিয়ার কেরানীহাটে সাড়ে ৩ কিলোমিটারের ১টি ফ্লাইওভার নির্মাণ, লোহাগাড়ার আমিরাবাদে বাইপাস নির্মাণ ও চকরিয়া বাইপাস নির্মাণ। এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে, এ সব স্থানের যানজট এড়িয়ে নির্বিঘ্নে পণ্য পরিবহন নিশ্চিত করা। সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, এখন এই প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণ প্রস্তাব জেলা প্রশাসনে যাবে। এর পরই বিভিন্ন প্রক্রিয়া শেষ করে জমির ক্ষতিপূরণ পাবেন মালিকরা।

এই ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এবং এই প্রকল্পের পরিচালক শ্যামল কুমার ভট্টাচার্য্য আজাদীকে বলেন, চট্টগ্রামকক্সবাজার মহাসড়কে ৫টি পয়েন্টে ২৫ কিলোমিটারে ৪টি বাইপাস ও ১টি ফ্লাইওভার নির্মাণ প্রকল্প জাইকার সাথে আমাদের ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই প্রকল্পে ব্যয় হবে ৮ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জাইকা ঋণ দিচ্ছে ৫ হাজার কোটি টাকা।

প্রকল্পের পরামর্শক নিয়োগের কাজ চলছে। পরামর্শক নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হলে তারা ডিটেইল ডিজাইন তৈরি করবে। এরপর ভূমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু হবে। ভূমি অধিগ্রহণে ব্যয় হবে ২ হাজার থেকে আড়াই হাজার কোটি টাকার মত। ভূমি অধিগ্রহণের টাকা জিওবি ফান্ড থেকে দেয়া হবে। ২০২৫ সালের মাঝামাঝিতে টেন্ডার আহ্বান করতো পারবো। টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষে প্রকল্পের কাজ শুরু হবে ২০২৫ সালে।

প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, ৫টি বাইপাসের বাইরে চট্টগ্রামকক্সবাজার মহাড়কের অবশিষ্ট অংশ ১০৭ কিলোমিটার সড়কও জাইকার অর্থায়নে হবে। এই ব্যাপারে তাদের সাথে কথা বার্তা চলছে। জাইকা প্রথম পর্যায়ে চট্টগ্রামের মইজ্জ্যারটেক থেকে চকরিয়া পর্যন্ত করতে চায়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধডায়াবেটিস আছে, অথচ অর্ধেকে জানেন না তারা আক্রান্ত
পরবর্তী নিবন্ধসাগরিকায় আগুনে পুড়ল কার্টন-ফোম কারখানাসহ বসতঘর