যে সংস্কারে দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে, বিএনপি সেটাকে সংস্কার মনে করে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দেশে রাজনৈতিক ক্রান্তিকাল চলছে মন্তব্য করে তিনি বলেছেন, স্বৈরাচারের মাথা পালিয়েছে, কিন্তু তার প্রেতাত্মারা সমাজে, প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় এখনও রয়ে গেছে। সেখান থেকে তারা তাদের ষড়যন্ত্রের বীজ বপনের চেষ্টা করছে। গতকাল মঙ্গলবার যশোর টাউন হল মাঠে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় এসব কথা বলেন তারেক রহমান। খবর বিডিনিউজের।
প্রয়াত এ বিএনপি নেতার স্মরণে তিনি বলেন, দেশের এই রাজনৈতিক ক্রান্তিকালে তরিকুল ইসলামের মতো রাজনীতিকের অভাব বোধ করছি। তিনি থাকলে আমরা আরও গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ পেতাম, যা দেশ ও দলের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনতে পারতো। যশোর জেলার প্রতিটি উপজেলা থেকে আসা হাজার হাজার বিএনপি নেতা–কর্মীদের ভিড়ে স্মরণসভা বিশাল সমাবেশে পরিণত হয়।
স্মরণসভা শুরুর নির্ধারিত সময় বিকাল ৩টার আগেই টাউন হল মাঠ জনসমুদ্রে পরিণত হয়। এক পর্যায়ে মানুষের ঢল জনসভাস্থল পেরিয়ে আশপাশের রাস্তায়ও ছড়িয়ে পড়ে।
বর্তমান সরকারের সংস্কার বিষয়ে ইঙ্গিত করে তারেক রহমান বলেন, অনেকেই অনেক রকম সংস্কারের কথা বলছেন। সংবিধানের মধ্যে কতকগুলো লাইনের পরিবর্তনই কি সংস্কার? একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে সংস্কার বলতে আমরা বুঝি, যে সংস্কার করলে মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে, যে সংস্কার করলে বেকারদের কর্মসংস্থান হবে, যে সংস্কার করলে নারীদের স্বাধীনতা ও অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে, যে সংস্কার করলে মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে, যে সংস্কার করলে দেশের সন্তানরা সুশিক্ষা পাবে, দেশের মানুষ ন্যূনতম চিকিৎসা পাবে।
বিএনপিই প্রথম সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছে বলেও দাবি করেছেন তারেক রহমান।
তিনি বলেন, দেশে ও দেশের মানুষের ভাগ্যের ভালো পরিবর্তনের জন্য সংস্কারের কথা যদি কেউ বলে থাকে, তা বিএনপিই বলেছে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ২০৩০ ভিশন নামে সংস্কারের কথা বলেছেন। ২০২৩ সালে দলের পক্ষ থেকে এবং এর কয়েকদিন পর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে থাকা সকল দলকে একত্রিত করে সংস্কারের জন্য আমরা ৩১ দফা দিয়েছি।
সংবিধানে কিছু পরিবর্তনের প্রয়োজন আছে উল্লেখ করে দিন তারেক রহমান বলেন, দুনিয়ার পরিবর্তিত সময়ের সঙ্গে অবশ্যই কিছু সংস্কার করতে হবে।
যশোর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকনের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ–সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুণ্ডু, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার টিএস আইউব, আবুল হোসেন আজাদ, সাবিরা নাজমুল মুন্নী ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সৈয়দ সাবেরুল হক বক্তব্য রাখেন।