আজ মধ্যরাতে শেষ হচ্ছে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা

জেলে পল্লীতে সাগরে নামার জোর প্রস্তুতি

আহমদ গিয়াস, কক্সবাজার | রবিবার , ৩ নভেম্বর, ২০২৪ at ৮:২৬ পূর্বাহ্ণ

ইলিশের প্রজনন মৌসুম উপলক্ষে সাগরে মাছ ধরার ওপর ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে আজ রোববার মধ্যরাত থেকে ফের শুরু হচ্ছে মাছ ধরা। এ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই কক্সবাজার শহরসহ জেলার জেলে পল্লীসমূহে চলছে জোর প্রস্তুতি। নিষেধাজ্ঞা অতিবাহিত হওয়ার পর পরই যাতে মাছ ধরা শুরু করা যায় তার লক্ষ্যে কক্সবাজারের অর্ধ লক্ষাধিক জেলে প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন করেছেন।

গতকাল শনিবার সরেজমিন কক্সবাজার উপকূলের বিভিন্ন ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি হিসেবে কেউ নৌকা মেরামত করছেন আর কেউবা জাল মেরামত করছেন; কেউ কেউ গুদাম থেকে জালের বস্তা সৈকতে আনছেন। আবার সৈকতের টিলায় অথবা ডকে নোঙর করে রাখা নৌকাগুলোতেও চলছে ধোয়া মোছার কাজ। নিষেধাজ্ঞা অতিবাহিত হওয়ার সাথে সাথেই যাতে মাছ ধরার জন্য সাগরে রওয়ানা দেওয়া যায় তারই লক্ষ্যে কঙবাজারের অর্ধ লক্ষাধিক জেলে প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন করে ফেলেছেন বলে জানান জেলা ফিশিং বোট মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মাস্টার মোস্তাক আহমদ।

তিনি জানান, কঙবাজারে মাছ ধরার ছোট বড় ৮ হাজার যান্ত্রিক বোট রয়েছে। এসব বোটে প্রায় ১ লাখ জেলে শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। ইলিশের প্রজনন মৌসুম উপলক্ষে সাগরে মাছ ধরার উপর ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা অতিবাহিত হওয়ার পরপরই যাতে মাছ ধরা শুরু করা যায় সেজন্য কঙবাজারের অর্ধ লক্ষাধিক জেলে প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। বাকি জেলেরাও প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

ফিশারীঘাটস্থ মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী বলেন, ইলিশের প্রজনন মৌসুম উপলক্ষে গত ১৩ অক্টোবর থেকে সাগরে মাছ ধরার উপর ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু হওয়ার পর থেকেই মাছের অভাবে সাগরপাড়ের এ শহরের প্রধান মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র ফিশারীঘাট এখন খাঁ খাঁ প্রান্তরে পরিণত হয়েছিল। জেলেদের প্রস্তুতির কারণে ফিশারীঘাটসহ জেলার জেলে পল্লীগুলোতে আবারও প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। তিনি জানান, রোববার দিবাগত রাত ১২টার পর নিষেধাজ্ঞা অতিবাহিত হওয়ার পর জেলেরা ট্রলার নিয়ে সাগরে মাছ ধরতে রওয়ানা দেবে। তবে ইলিশ ধরে ঘাটে ফিরতে জেলেদের ৪/৫ দিন সময় লাগতে পারে। আর তখন থেকেই বাজারে ইলিশ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে বলে আশা করছি।

ফিশারীঘাটের পাশাপাশি শহরের দরিয়ানগর সৈকত, রেজু, ইনানী ও শামলাপুর সৈকতসহ অন্যান্য জেলে পল্লীতেও চলছে জেলেদের জোর প্রস্তুতি। দরিয়ানগর বোট মালিক সমিতির সভাপতি নজির আলম বলেন, রোববার দিবাগত রাত ১২টার পর নিষেধাজ্ঞা অতিবাহিত হওয়ার সাথে সাথেই যাতে জেলেরা সাগরে রওয়ানা দিতে পারেন সেজন্য গত কয়েকদিন ধরেই চলছে জোর প্রস্তুতি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাস চাপায় নিহত বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী মিমের পরিবার পাচ্ছে ২০ লাখ টাকা
পরবর্তী নিবন্ধখামার বাড়ির দখল নিয়ে বিরোধ, কাটা হলো ৫০টি গাছ