ষড়যন্ত্র ও রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা খতিয়ে দেখছে পুলিশ

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ১২ অক্টোবর, ২০২৪ at ৬:৪৩ পূর্বাহ্ণ

নগরীর জেএমসেন হলে দুর্গাপূজা মণ্ডপে ইসলামী সংগীত পরিবেশনের ঘটনায় জড়িতদের রাজনৈতিক কোনো সংশ্লিষ্টতা এবং সৃষ্ট পরিস্থিতিকে ঘিরে কোনও ষড়যন্ত্র আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)

গতকাল দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ(সিএমপি) কমিশনার কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানিয়েছেন সিএমপির উপকমিশনার (অপরাধ) রইছ উদ্দিন।

সংবাদ সম্মেলনে উপকমিশনার বলেন, কোতোয়ালী থানাধীন আন্দরকিল্লায় পূজা উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে জেএম সেন হল প্রাঙ্গণে প্রতিবছরের মতো পূজামণ্ডপ স্থাপন করা হয়েছে। সেখানে শিল্পীদের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বী লোকজন পূজা মণ্ডপে আসেন এবং অনুষ্ঠান উপভোগ করতে থাকেন। এর মধ্যে পূজা আয়োজন কমিটির যুগ্মসাধারণ সম্পাদক সজল দত্ত চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমির একদল শিল্পীকে অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করার জন্য অনুরোধ করেন। তার অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে ওই শিল্পী গোষ্ঠীর ছয় সদস্য শহীদুল করিম (৪২), নুরুল ইসলাম (৩৪), আব্দুল্লাহ ইকবাল (৩০), রনি (২৮), গোলাম মোস্তফা (৩৬) ও মো. মামুন (২৭) পূজার অনুষ্ঠানে একটি গজল ও একটি বাউল গান পরিবেশন করেন। ‘আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম’ এবং ‘শুধু মুসলমানের লাগি আসেনিকো ইসলাম, বিশ্ব মানুষের কল্যাণে স্রষ্টার এই বিধান’ শীর্ষক গান দু’টি পরিবেশন করেন তারা। এর মধ্যে দ্বিতীয় গানটির শেষের অংশ ভিডিও আকারে অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ে। এতে দেশজুড়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। গানের ভাষায় শব্দ চয়ন সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে বলে অভিযোগ উঠে। অনুষ্ঠানে পরিবেশন করা গান দু’টি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।

উপকমিশনার আরো বলেন, অভিযুক্ত দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তারা হলেনগান পরিবেশনকারী শহীদুল করিম (৪২) ও নুরুল ইসলাম (৩৪)। শহীদুল করিম নগরের তানজিমুল উম্মাহ মাদ্রাসার শিক্ষক এবং নুরুল ইসলাম দারুল ইরফান একাডেমির শিক্ষক। জড়িত বাকিদের আটকে অভিযান অব্যাহত আছে। আটক ব্যক্তিদের সঙ্গে রাজনৈতিক কোনো সংশ্লিষ্টতা ও ষড়যন্ত্র আছে কিনা তা খোঁজা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মো. রইছ উদ্দিন বলেন, যারা তাদের এ অনুষ্ঠানে ইনভাইট (আমন্ত্রণ) করেছিল, তাদের সঙ্গেও আমরা কথা বলার চেষ্টা করেছি। বিশেষ করে সজল দত্ত, যার নাম উঠে এসেছে, তাকেও জিজ্ঞাসাবাদের চেষ্টা চলছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তাকে আমরা পাইনি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপূজা কমিটির নেতাসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার দুই
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও ৩৭ জন