দুর্গাপূজায় আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ৮ নির্দেশনা জারি

| বৃহস্পতিবার , ৩ অক্টোবর, ২০২৪ at ৪:৩৮ পূর্বাহ্ণ

আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে হিন্দু ধর্মালম্বীদের পাশাপাশি পূজামণ্ডপের নিরাপত্তা বিধানে সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের গণ্যমান্য ব্যক্তি ও ছাত্রজনতাকে অন্তর্ভুক্ত করে মনিটরিং কমিটি গঠনসহ আটটি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

গতকাল বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের রাজনৈতিক২ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মো. জহিরুল হক স্বাক্ষরিত এক অফিস স্মারকের মাধ্যমে এসব নির্দেশনা জারি করা হয়। খবর বাংলানিউজের।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, গত ১ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির দ্বিতীয় সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক মাঠ প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য এসব নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। নির্দেশনাগুলো হলো. শারদীয় দূর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ, র‌্যাব এবং আনসার ও ভিডিপি কর্তৃক দৃশ্যমান টহল জোরদার এবং গোয়েন্দা নজরদারি বাড়াতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মাঠে নিয়োজিত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরাও প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করবে,

. যে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রতিরোধে পূর্ব প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। অপ্রত্যাশিতভাবে কোনো ঘটনার সূত্রপাতের সঙ্গে সঙ্গেই সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে, . শারদীয় দূর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে পূজামণ্ডপগুলো পরিদর্শন করতে হবে, . সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপত্তিকর বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে এরূপ কোনো বক্তব্য বা গুজব ছড়ানোর বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে, . সংশ্লিষ্ট পূজা উদযাপন কমিটিগুলোকে পূজামণ্ডপগুলোতে সার্বক্ষণিক পাহারার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক ও পাহারাদার (পালাক্রমে দিনে কমপক্ষে ০৩ জন এবং রাতে ০৪ জন) নিয়োজিত করতে হবে,

. প্রতিটি পূজামণ্ডপে সার্বক্ষণিক সিসি ক্যামেরা স্থাপনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, . শারদীয় দুর্গাপূজা উদ্‌যাপন উপলক্ষে পর্যাপ্ত পরিমাণে পুলিশ বাহিনীর সদস্য, বিজিবি, আনসার ও ভিডিপি, র‌্যাব এবং অন্যান্য বাহিনীর সদস্য মোতায়েন নিশ্চিত করতে হবে, . শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে হিন্দু ধর্মালম্বীদের পাশাপাশি পূজামণ্ডপের নিরাপত্তা বিধানে সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা ও ছাত্রজনতাকে অন্তর্ভুক্ত করে মনিটরিং কমিটি গঠন করতে হবে। জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসকরা এবং উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসাররা এরূপ কমিটি গঠন করবেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমজুমদারের অর্থ পাচারের অনুসন্ধানে সিআইডি
পরবর্তী নিবন্ধকাতালগঞ্জে গ্যাস লাইনে হঠাৎ আগুন