আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খানের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার ড. এসএম ফরহাদ হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোতাছেম বিল্যাহ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সাইফুল ইসলাম, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি উষাতন তালুকদার, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদ, জেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অমলেন্দু হাওলাদার, রাঙামাটি পৌরসভার প্যানেল হেলাল উদ্দিন, কালায়ন চাকমাসহ বিভিন্ন সংগঠন ও মঠ মন্দিরের প্রতিনিধিরা।
আলোচনা সভায় বক্তারা জেলার শারদীয় দুর্গাপূজা সামপ্রদায়িক সমপ্রীতি বজায় রেখে শান্তিপুর্ণভাবে দুর্গোৎসব পালনের জন্য আহবান জানান। মণ্ডপের নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়ন করার কথা জানানো হয়।এতে সনাতন সমপ্রদায়ের নেতৃবৃন্দ সড়কের বেহাল দশা, সড়কে পৌরসভার সড়ক বাতির ব্যবস্থা, নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎসহ বিভিন্ন স্থানীয় বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরেন। জেলাপ্রশাসক এ সকল সমস্যা দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দেন। এছাড়া রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা শারদীয় দুর্গাপূজায় নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সার্বিক সহযোগিতার করার কথা জানান।
জানা গেছে, এবার জেলায় ৪৪টি পূজা মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। নতুন পূজামণ্ডপ বেড়েছে একটি। রাঙামাটি শহরের হ্যাপিমোড় জগদ্ধাত্রী মাতৃমন্দিরে নতুন করে এবার পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া রাঙামাটি শহরে ১৪টিসহ সদর উপজেলায় ১৫টি। অন্যান্য উপজেলাগুলোর মধ্যে নানিয়ারচরে একটি, বিলাইছড়িতে একটি, জুরাছড়ি একটি, কাপ্তাইয়ে আটটি, রাজস্থলীতে চারটি, কাউখালীতে চারটি, বরকল দুইটি, বাঘাইছড়ি পাঁচটি, লংগদু তিনটি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এদিকে, দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে জেলার মট–মন্দির প্রতিনিধিদের সঙ্গে পূজায় আইনশৃঙ্খলাবাহিনী মোতায়েন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত নিয়ে বৈঠক করেছে জেলা পুলিশ।