অবিলম্বে সকল প্রকার জ্বালানি তেলের দাম কমানোর দাবি জানিয়েছেন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগ ও নগর কমিটির নেতারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব মহানগরের প্রেসিডেন্ট জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম জাহাঙ্গীর, ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা প্রেসিডেন্ট আবদুল মান্নান, ক্যাব যুব গ্রুপ চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি চৌধুরী কেএনএম রিয়াদ, ক্যাব যুব গ্রুপ চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি আবু হানিফ নোমান প্রমুখ।
বিবৃতিতে ক্যাব নেতৃবৃন্দ বলেন, ব্যবসায়ী ও বাজার বিশ্লেষকসহ খাদ্য মূল্যস্ফীতি বাড়া ও জীবন যাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হিসাবে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিকে দায়ী করেছেন। আর জ্বালানি তেলের দাম কমলে গণপরিবহন ভাড়া কমবে, কৃষি উৎপাদনসহ ব্যবসা বাণিজ্যের অনেকগুলো বিষয়ের খরচ কমবে। যার সরাসরি প্রভাব পড়বে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দামের ওপর। এটি মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরাসরি ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। আর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান অঙ্গীকারের অন্যতম হলো মূল্যস্ফীতি সহনীয় রাখা।
বিবৃতিতে ক্যাব নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম অনেকদিন ধরে নিম্নমুখী হলেও দেশে বিগত সরকার তেলের দাম না কমিয়ে উল্টো বাড়িয়ে দিয়েছে, ফলে সাধারণ মানুষের উপর মূল্যস্ফীতির হার বৃদ্ধিসহ জীবনযাত্রার খরচের চাপ বেড়েছে। অধিকন্তু ২০২২ সালে এক লাফে প্রতি লিটার ৫১ টাকা পর্যন্ত মূল্যবৃদ্ধি করা হয়, পরবর্তীতে সমন্বয়ের কথা বলা হলেও তেমন কোন দাম কমায়নি।
সর্বশেষ ১লা জুন, ২০২৪ইং ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ৭৫ পয়সা করে বাড়িয়ে প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ১০৭ টাকা ৭৫ পয়সা, পেট্রোলের দাম ১২৭ টাকা এবং অকটেন ১৩১ টাকা করা হয়। সরকার বারবার বিপিসির লোকসানের কথা বললেও লোকসান, কেনা–কাটায় লুটপাট ও অনিয়ম বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ না করে পরিকল্পিতভাবে আরও ভারী করেছেন।
বিবৃতিতে ক্যাব নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশের দক্ষিন–পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যায় বিপুল সংখ্যাক লোকজন ঘরবাড়ি, সহায় সম্বল হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে। যেখানে এক করোনার ক্ষতি এখনও পুষানো যায়নি, সেখানে বন্যার ক্ষয়ক্ষতি পুষানো আরও অনেক কঠিন হবে। ফলে জনগণের একটি বড় অংশ ক্রয়ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে। তাই এই সংকটকালীন সময়ে সরকার জ্বালানি তেলের ওপর ভ্যাট কমিয়ে জ্বালানি তেলের দাম উল্লেখযোগ্য পরিমানে কমিয়ে সাধারণ জনগনের জীবন যাত্রায় স্বস্তি দিতে জনগণের পাশে থাকা উচিত বলে মন্তব্য করেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।