সিএমপির থানাগুলোতে হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় মামলা রুজু করা হচ্ছে। প্রতিটি থানা, পুলিশ ফাঁড়ি এবং পুলিশ বক্সে হামলার ঘটনায় পৃথক পৃথক মামলা রুজু করা হবে। গতকাল প্রথম দফায় কোতোয়ালী থানায় হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ৩০/৪০ হাজার জনকে আসামি করে একটি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। হামলার সময় থানার আসবাবপত্র লুট, যানবাহন ভাঙচুর, থানায় অগ্নিসংযোগ ও বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৮ কোটি ৩০ লক্ষ টাকার চুরি ও ক্ষয়ক্ষতি। গতকাল শুক্রবার বিকেলে কোতোয়ালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রিপন কুমার দাশ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম ওবায়েদুল হক।
এতে দুষ্কৃতকারীরা থানায় হামলা, লুটপাট এবং অগ্নিসংযোগ করে ব্যাপক ক্ষতি সাধনের কথা উল্লেখ করা হয়। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ১৮৬০ সনের পেনাল কোড আইনের বিবিধ ধারায় বিস্ফোরক আইনের ১৯০৮ এর ৩/৬ ধারা ও বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ সনের ১৫(৩)/২৫–ডি ধারায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর মিছিল শেষে হাজার হাজার লোক জড়ো হয় কোতোয়ালী থানার সামনে। এ সময় তারা থানায় হামলা চালায়। পুলিশ সদস্যরা হামলাকারীদের নিবৃত্ত করতে চাইলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতা থানার গেট ভেঙে প্রবেশ করে বিভিন্ন আসবাবপত্র ও বিপুল পরিমাণ অস্ত্র লুট করে নিয়ে যায়। এছাড়াও থানার বিভিন্ন গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।