বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কোনো ধরনের বক্তব্য–বিবৃতি সব ধরনের গণমাধ্যমে প্রচার ও প্রকাশে আর কোনো আইনগত বাধা রইল না। তারেক রহমানের পক্ষে আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য বিবৃতি প্রচারে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আদেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। বিষয়টি নিয়ে রুলও জারি করেছিল আদালত। এ সংক্রান্ত মামলাটির পিটিশনার মামলাটি গতকাল বৃহস্পতিবার খারিজ
( ডিসচার্জ ফর নন–প্রসিকিউশন) করে নিয়েছেন। ফলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য বিবৃতি প্রচারে যে আইনি বাধা ছিলো তা আর রইলো না। শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট শাসনামলের ওই আদেশটি সংবিধান পরিপন্থী ছিল বলে মনে করেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। খবর বাসসের।
বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ মামলাটি খারিজ (ডিসচার্জ ফর নন–প্রসিকিউশন) করে দেন। ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি এক রিট পিটিশনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আইনের দৃষ্টিতে পলাতক উল্লেখ করে তারেক রহমানের কোনো বক্তব্য কিংবা বিবৃতি গণমাধ্যমে প্রচার ও প্রকাশ নিষিদ্ধে রুলসহ অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেয় হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তারেক রহমানের বিদেশে অবস্থান সম্পর্কে জানাতে পররাষ্ট্র সচিবকে নির্দেশ দেয়া হয়। তারেক রহমানের পাসপোর্টের মেয়াদ বিষয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) একটি প্রতিবেদন দিতেও নির্দেশ দেয় আদালত। তারেক রহমানের বক্তব্য প্রকাশ ও প্রচার নিষিদ্ধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন বিবাদীদের নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুলও জারি করে আদালত। মামলাটি পিটিশনার নাসরিন সিদ্দিকা লিনা গতকাল বৃহস্পতিবার মামলাটি প্রত্যাহারে (নন–প্রসিকিউশন) আবেদন করেন। আদালত তা মঞ্জুর করেছেন। ফলে তারেক রহমানের বক্তব্য বিবৃতি গণমাধ্যমে প্রচার প্রকাশে কোনরূপ আইনগত বাধা থাকলো না।