গত ৫ আগস্ট ছাত্র–জনতার অভূতপূর্ব অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। অজস্র তাজা প্রাণের বিনিময়ে ছাত্র–জনতার এ বিজয় অর্জিত হয়। দেশের মানুষ তাদের রাজনৈতিক অধিকার ফিরে পায়, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়। এরই ধারাবাহিকতা ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। এ সরকারের কাছে রয়েছে দেশবাসীর অনেক চাওয়া–পাওয়া। এসব প্রত্যাশা পূরণ করতে নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা সম্মুখীন হতে করে অন্তর্র্বর্তী সরকারকে। তবে পূরণ তা অসম্ভব নয়।
আমাদের দেশে প্রতিটি সেক্টরে দুর্নীতি শেকড় গেড়ে বসেছে। তাই রাষ্ট্র সংস্কারের শুরুতে শক্ত হাতে দুর্নীতি দমন করতে হবে। সরকারি আমলাদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থারও আমূল পরিবর্তন আনা জরুরি। শিক্ষাব্যবস্থার সর্বোচ্চ পর্যায় হলো বিশ্ববিদ্যালয়; যেখান থেকে বিশ্বমানের গবেষক, বুদ্ধিজীবী, চিকিৎসক, শিক্ষক গড়ে ওঠে। কিন্তু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। চিকিৎসাব্যবস্থা বেহাল দীর্ঘ দিনের। দেশের অধিকাংশ জায়গায় ভালো কোনো হাসপাতাল নেই। অস্বীকারের উপায় নেই, দেশের উল্লেখযোগ্যসংখ্যক চিকিৎসক রেজিস্ট্রেশন ছাড়াই দেশের বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন। এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নীতিমালার বাস্তবায়ন করতে হবে।
এ ছাড়া মানুষের মৌলিক অধিকার ও বাক–স্বাধীনতার নিশ্চিত করতে হবে। এসব প্রতিবদ্ধকতা দূর করে একটি সুশাসিত তারুণ্যের বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ প্রত্যাশা করছে দেশের মানুষ। আশা করি, অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকার দেশবাসীর এ প্রত্যাশা বাস্তবায়নে সর্বাত্বক কাজ করে যাবে।