লোহাগাড়া–সাতকানিয়ার সাবেক সংসদ সদস্য প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজাম উদ্দিন নদভী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খোরশেদ আলম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মো. সালাহ উদ্দিন হিরু ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি রিদওয়ানুল হক সুজনসহ ৭৩ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল রোববার চট্টগ্রাম চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের জঙ্গল পদুয়া এলাকার সিরাজুল ইসলামের পুত্র মো. জাহেদ।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১ আগস্ট লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের নুইরগা ডেবা নামক স্থানে আসামিরা অশ্লীল নাচ–গানের আয়োজন করে। এক পর্যায়ে এলাকার সচেতন মহল গিয়ে উদ্যম–অশ্লীল গানের আসর বন্ধ করতে বললে আসামিরা প্রকাশ্যে গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। অপরদিকে, গত ৪ আগস্ট উপজেলা সদর বটতলী স্টেশনে চৌধুরী প্লাজার সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিল শুরু হওয়ার প্রাক্কালে আসামীরা আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে নিরীহ ছাত্র–জনতার মিছিলে উপর্যুপুরি গুলি ছুঁড়ে, আশপাশের দোকান ভাংচুর, ব্যক্তি মালিকানাধীন ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করে জনমনে আতংক সৃষ্টি করে। এই সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র–জনতার মিছিলে ধাওয়া করে হাসনাতকে এলোপাতাড়ি মাথা ও পিঠে কুপিয়ে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করে মৃত ভেবে ফেলে রাখে। এছাড়া আর কখনো বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে গেলে গুলি করে জানে মেরে ফেলবে, মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে দিবে এবং এরপরেও বেশি বাড়াবাড়ি করলে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলার হুমকি দেয়।
চট্টগ্রাম জজ কোর্টের আইনজীবী এডভোকেট ইমতিয়াজ রেজা চৌধুরী নিশান জানান, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে লোহাগাড়া থানার ওসিকে এফআইআর হিসেবে গণ্য করার নির্দেশ দিয়েছেন।