হিন্দুদের একটি অংশকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে আওয়ামী লীগ ষড়যন্ত্র করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী। তিনি বলেছেন, যেমনিভাবে হিটলার, মুসোলিনী, চেঙ্গিস খান, টিক্কা খান, ইয়াহিয়া খান ফিরে আসে নাই, ঠিক তেমনি শেখ হাসিনা ফিরে আসবে না। কিন্তু হিন্দুদের একটি অংশকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে পরাজিত শক্তি ষড়যন্ত্র করছে। আওয়ামী লীগের পাতানো সামপ্রদায়িক উসকানিতে কেউ পা দেবেন না। গতকাল সোমবার বিকালে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে ‘শান্তির পথে আমরা বাংলাদেশী’ শীর্ষক সমাবেশে তিনি একথা বলেন। খবর বিডিনিউজের।
সরকারের পতন ঘটানো গণঅভ্যুত্থানে হিন্দু, মুসলিম ছাত্র–জনতা সবাই ছিল উল্লেখ করে নিতাই রায় চৌধুরী বলেন, “এখানে কোনো বিশেষ সমপ্রদায়ের ব্যাপার ছিল না। এখানে কোনো সামপ্রদায়িকতা ছিল না। আজকে কোনো সামপ্রদায়িক দ্বন্দ্ব হচ্ছে না। এই দ্বন্দ্ব হচ্ছে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে। তারা যেটাকে সামপ্রদায়িকতা বলতে চাচ্ছে, এটা সামপ্রদায়িকতা নয়।
সমাবেশে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহসম্পাদক রুমিন ফারহানা বলেন, “হিন্দু সমপ্রদায়ের ভাই বোনকে বলব, আওয়ামী লীগ থেকে খুব সাবধান। যতবার তারা ক্ষমতা ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে, তারা আপনাদেরকে ব্যবহার করেছে। বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন তো এরকম হয় নাই। যেটা আমরা নাসির নগরে দেখেছি, রামুতে দেখেছি, যশোরে দেখেছি, অভয়নগরে দেখেছি। আমাদের সময় তো এরকম হয় নাই।
তিনি বলেন, “আপনাদের ভোটে বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করলে একজন মুসলমান, একজন হিন্দু, একজন বৌদ্ধ ও একজন খ্রিষ্টানের মধ্যে কোনোরকম বৈষম্য হবে না। বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষ একই অধিকার ভোগ করবে।”
ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরী বলেন, “আজকের কর্মসূচিতে হিন্দু–বৌদ্ধ সমপ্রদায়ের দিদি ও দাদারা এবং মুসলিম সমপ্রদায়ের বোনেরা ও ভাইয়েরা সবাই ঐক্যবদ্ধ আছে। এটা হলো বাংলাদেশের প্রকৃত চিত্র। এই চিত্র ও বিজয়কে দেশি–বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা নস্যাৎ করতে চায়। আওয়ামী সন্ত্রাসীরা নস্যাৎ করতে চায়। কোনো লাভ হবে না।
“হাসিনা পালিয়ে গেছে। ছাত্র–জনতার বিজয় হয়েছে। কোনো অপচেষ্টা করে লাভ নাই। আপনারা প্রত্যেকে পাড়ায় পাড়ায়, মহল্লায় মহল্লায় পাহারা দিবেন, যাতে দুর্বৃত্তরা, সন্ত্রাসীরা ও স্বৈরাচারিরা বাংলাদেশের মাটিতে কোনো অপকর্ম ও ষড়যন্ত্র করতে না পারে।” সমাবেশে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ রায় সাহস বক্তব্য দেন।