অলিম্পিকে পুরুষ ফুটবলে এবার নেই গত দুই আসরে স্বর্ণজয়ী ব্রাজিল। তবে নারী অলিম্পিক ফুটবলে ঠিকই রয়েছে তারা। শুধু তাই নয়, অলিম্পিক ফুটবল দিয়েই বুট তুলে রাখার ঘোষণা দিয়েছেন নারী ফুটবলের কিংবদন্তী তারকা মার্তা। নারী ফুটবলের প্রথম ম্যাচে জয় দিয়েই শুভ সূচনা করেছে মার্তার ব্রাজিল। ১–০ গোলে তারা হারিয়েছিলো নারী ফুটবলের অন্যতম শক্তিশালী দল নাইজেরিয়াকে। আফ্রিকান দেশটির বিপক্ষে জয় পেতে কঠিন লড়াই করতে হয়েছে ব্রাজিলের নারী ফুটবলারদের। ৩৭ মিনিটে জয়সূচক একমাত্র গোলটি করেন গ্যাবি নানেস। এর ঠিক এক মিনিট আগে মার্তার একটি গোল বাতিল করে দেয়া হয় অফসাইডের অজুহাতে। কিন্তু পরের মিনিটেই নাইজেরিয়ার বক্সের সামনে বল পেয়ে দুই টাচেই জালে জড়িয়ে দেন নানেস। ম্যাচ শেষে গোলদাতা নানেস বলেন এই গোলটি করে আমি খুবই খুশি। এটা সত্যিই একটি কঠিন ম্যাচ ছিল। তবে আমাদের দলটা ছিল অসাধারণ। ছেলেদের ফুটবলে জাপান প্যারাগুয়েকে ৫ গোল দিলেও নারীদের ফুটবলে হেরে গেছে সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। যদিও হারতে হয়েছে টুর্নামেন্টের অন্যতম শক্তিশালী দল স্পেনের কাছে। ২–১ গোলে জাপানকে হারিয়েছে নারী বিশ্বকাপ ফুটবলের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। ১৩ মিনিটে ফুজিনোর গোলে এগিয়ে যায় জাপান। গোল হজম করে জ্বলে ওঠে স্প্যানিশরা। ২২ মিনিটে স্পেনকে সমতায় ফেরান অ্যাইতানা বোনমাতি। ৭৪ মিনিটে জয়সূচক গোলটি করেন ক্যালদেন্তি। নারী ফুটবলের সবচেয়ে শক্তিশালী দল যুক্তরাষ্ট্র ৩–০ গোলে হারিয়েছে জাম্বিয়াকে। ১৭ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে গোলের সূচনা করেন ট্রিনিটি রডম্যান। ২৫৪ এবং ২৫ তম মিনিটে জোড়া গোল করে বসেন ম্যালোরি সোয়ানসন। নারী ফুটবলের ‘বি’ গ্রুপ রয়েছে শক্তিশালী দেশ জার্মানি। অস্ট্রেলিয়ার মেয়েদের তারা হারিয়েছে ৩–০ গোলের বড় ব্যবধানে। জার্মান নারীদের হয়ে গোল করেন হেগেরিং, স্কুলার এবং ব্র্যান্ড। স্বাগতিক ফ্রান্সও পেয়েছে দাপুটে জয়। ৩–২ গোলে তারা হারিয়েছে কলম্বিয়াকে। ফ্রান্সের হয়ে ৬ মিনিটেই গোলের সূচনা করেন কাতোতো। ১৮ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ড্যালি। কলম্বিয়ার হয়ে গোল দুটি করেন উসমে এবং প্যাভি।