মুক্তিযুদ্ধের সময় ফটিকছড়ি থেকে প্রায় দেড় হাজার মুক্তিযোদ্ধা অংশগ্রহণ করেন। চট্টগ্রাম থেকে মুক্তিযোদ্ধারা ট্রেনিং নেওয়ার জন্য ভারতে যেতেন ফটিকছড়ি হয়ে এবং ট্রেনিং নিয়েও ফিরতেন একই পথে। এ কারণে ফটিকছড়িকে চট্টগ্রামের মুক্তিযোদ্ধাদের প্রবেশদ্বারও বলা হয়। মহান মুক্তিযুদ্ধে ফটিকছড়ির ছিল অসামান্য অবদান। বিজয়ের ৫৩ বছর পর এখানে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বগাথা ও অগণিত শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় স্মৃতিসৌধ নির্মাণ হতে চলেছে। উপজেলা পরিষদ মাঠের দক্ষিণ কর্নারে কিছুদিনের মধ্যেই দৃশ্যমান হবে স্মৃতিসৌধটি।
উপজেলা প্রকৌশলী তন্ময় নাথকে সাথে নিয়ে স্মৃতিসৌধটি নকশা করেছেন দীপক দত্ত। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় প্রায় সাড়ে ২২ লাখ টাকা আর্থিক বরাদ্দ অনুমোদন দিলে গত ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর দিবসে খাদিজাতুল আনোয়ার সনি এমপি প্রস্তাবিত ডিজাইন থেকে চূড়ান্ত ডিজাইন নির্বাচন করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, সংসদ সদস্য খাদিজাতুল আনোয়ার সনির নির্দেশনায় স্মৃতি সৌধ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। মে মাসের প্রথম সপ্তাহে কাজ শুরু হয়ে বর্তমানে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে ফটিকছড়ি মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধের নির্মাণ কাজ। মহান মুক্তিযুদ্ধে নাম না জানা অগণিত শহীদ আর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্ব গাঁথা যুগে যুগে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিবে স্বাধীনতার এই স্মৃতি সৌধ।