চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়ার একাধিক পয়েন্টে হঠাৎ করে বেড়ে গিয়েছিল ডাকাতি, মোটর বাইক ছিনতাইসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড। চকরিয়া থানার পুলিশ মহাসড়কে সংঘটিত একাধিক অপরাধের ঘটনায় কারা জড়িত রয়েছে, তাদের শনাক্তের কাজ করছিলেন সাম্প্রতিক সময়ে। অবশেষে সেই অপরাধচক্রটির মূল হোতাসহ একসঙ্গে পাঁচজনকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। আটককৃতদের বিরুদ্ধে খুন, ডাকাতি, অস্ত্রবাজি, ছিনতাই, চুরিসহ নানা অপরাধকর্মের খতিয়ান লিপিবদ্ধ রয়েছে পুলিশের কাছে।
গতকাল বুধবার রাতে চকরিয়া পৌর শহরের বাণিজ্যিক কেন্দ্র চিরিঙ্গার নিউমার্কেটের চতুর্থ তলার আবাসিক হোটেল আল ফরিদের ১১ নম্বর কক্ষে অভিযান চালিয়ে পুলিশ একসঙ্গে পাঁচজন ডাকাত–ছিনতাইকারীকে আড্ডারত অবস্থায় আটক করে। এ সময় তাদের হেফাজত থেকে উদ্ধার করা হয় অপরাধকর্মের সময় যাত্রী–সাধারণকে জিম্মি করতে ব্যবহার করা একটি দেশীয় তৈরি এলজি (আগ্নেয়াস্ত্র)।
আটককৃতরা হলো– চকরিয়া পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বায়তুশ শরফ রোডের চেয়ারম্যান পাড়ার মুজিবুল হকের ছেলে মিনহাজুর রহমান নয়ন (২৯)। সাত নম্বর ওয়ার্ডের পালাকাটার কাশেম মাস্টার পাড়ার আবুল কালামের ছেলে আরফাতুল ইসলাম (২২), বিনামারা গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে তায়েবুল ইসলাম (২২), একই গ্রামের জসিম উদ্দিনের ছেলে কামরুল ইসলাম ছোটন (১৯) ও ডুলাহাজারা ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের মালুমঘাটের রিংভং গ্রামের নুরুল কবিরের ছেলে মাহমুদুল করিম (২৮)।
পুলিশ জানায়, আটককৃতদের মধ্যে মিনহাজুর রহমান নয়নের বিরুদ্ধে খুন, অস্ত্র, ডাকাতি, ছিনতাইসহ অর্ধডজন মামলা রয়েছে। তার নেতৃত্বে মহাসড়কে অপরাধমূলক নানা কর্মকাণ্ড সংঘটিত হয়ে আসতেছিল। আটক অন্য সহযোগীদের বিরুদ্ধেও একাধিক মামলা রয়েছে।
এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী দৈনিক আজাদীকে বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে মহাসড়কে অপরাধসংঘটনের কারণে আইন–শৃঙ্খলার বিঘ্ন ঘটে। কিছুদিন পর পর মহাসড়কের চকরিয়ার বরইতলী, চিরিঙ্গায় মাতামুহুরী সেতু, ফাঁসিয়াখালী, রিংভং এলাকায় অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সংঘটিত হচ্ছিল। সেই চক্রকে ধরা হয়েছে হাতেনাতে একটি আগ্নেয়াস্ত্রসহ।’
ওসি–চকরিয়া আরও বলেন, ‘আটককৃতদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করা হবে। অন্য মামলায়ও তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হবে। আরও যেসব সদস্য বা সিন্ডিকেট রয়েছে তাদের সেই তথ্য সবিস্তারে জানার জন্য আদালতে রিমান্ডের আবেদন করা হবে।’