এবার ঈদুল আজহার ছুটিতে সন্দ্বীপে আসা যাত্রীদের পড়তে হয়েছে দুর্ভোগ ভোগান্তিতে। চট্টগ্রাম থেকে সন্দ্বীপ আসতে পাড়ি দিতে হয় সন্দ্বীপ চ্যানেল। বৈরী আবহাওয়ার কারণে ঈদের সপ্তাহ খানেক আগ থেকে নদীতে প্রচণ্ড ঢেউ থাকায় কুমিরা–গুপ্তছড়া নৌরুটে স্পিডবোট চলাচল একপ্রকার বন্ধই ছিল বলা যায়। ফলে যাত্রীদের নির্ভর করতে হয় বিআইডব্লিউটিসির জাহাজ এমভি আইভি রহমান ও সার্ভিস ট্রলারের উপর। তবে প্রচণ্ড ঢেউয়ের মধ্যে লাইফবোট (লালবোট) দিয়ে জাহাজে উঠানামা ঝুঁকিপূর্ণ।
ঈদের পর গত বুধবার থেকে তিন নম্বর সতর্ক সংকেতের কারণে শুক্রবার পর্যন্ত ৪ দিন বন্ধ ছিল এমভি আইভি রহমানের চলাচল। ফলে ঈদের ছুটি কাটিয়ে শহরমুখী যাত্রীদের ভিড় ছিল গুপ্তছড়া ঘাটে। স্পিডবোট ও সার্ভিসবোট চলাচল করলেও যাত্রী সংখ্যা বেশি হওয়ায় ঘাটে ভিড় লেগে ছিল প্রতিদিনই।
গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টায় গুপ্তছড়া ঘাটে গিয়ে উপচে পড়া ভিড়ের কারণে ঘাট থেকে ফিরে আসতে হয়েছে মাহমুদুল হাসান নামে এক যাত্রীকে। তিনি আজাদীকে জানান, স্টিমার সার্ভিস বন্ধ থাকায় সকাল থেকে স্পিডবোট আর সার্ভিস বোটে করে যাত্রীরা যাচ্ছে। তবে অত্যধিক যাত্রী থাকায় ঘাটে এ সার্ভিস অপ্রতুল। তাই অনেক যাত্রী সকাল ৬টায় ঘাটে এসেও টিকেট না পেয়ে ফিরে এসেছে বাড়িতে। জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে বিআইডব্লিউটিসির চট্টগ্রামের মহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) গোপাল চন্দ্র মজুমদার আজাদীকে জানান, বৈরী আবহাওয়ায় জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকার নির্দেশ রয়েছে ডিসি ও কোস্ট গার্ড থেকে। কিন্তু এ সময় স্পিডবোট চলাচল করলেও জাহাজ বন্ধ থাকার বিষয়টি উল্লেখ করলে তিনি বলেন, স্পিডবোটের সময় লাগে ২০ মিনিট। কিন্তু জাহাজে উঠানামার বিষয় আছে। সময়ও লাগে বেশি। তবে জাহাজের মাস্টারকে সাগরের পরিস্থিতি অনূকূলে থাকলে জাহাজ চালানোর জন্য বলা আছে বলে তিনি জানান।