এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামে পালিত হলো বিশ্ব রক্তদাতা দিবস। এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে রক্তদানের গুরুত্ব ও রক্তদাতাদের নিঃস্বার্থ অবদানকে সম্মাননা জানানো হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মা–শিশু ও জেনারেল হাসপাতালের ট্রান্সফিউশন (পরিসঞ্চালন) মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. সুপর্ণা দে। এছাড়া, এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামের মেডিকেল সার্ভিসেস বিভাগের ডিরেক্টর ডা. দীপক সিং, সিওও সামির সিং সহ হাসপাতালের কর্মী ও স্বেচ্ছসেবীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. নাসরিন আক্তারের তথ্যবহুল আলোচনা দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। তিনি মানবদেহে রক্তের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ও স্বাস্থ্যসেবায় ট্রান্সফিউশন বিভাগের সেবা–সুবিধা নিয়ে আলোচনা করেন। এরপর হেমাটোলজি অ্যান্ড বিএমটি সেন্টারের অ্যাসোসিয়েট কনসালটেন্ট ডা. মেজবা উদ্দিন চৌধুরী হেমাটোলজি ও ট্রান্সফিউশন মেডিসিনের অগ্রগতি সম্পর্কে বক্তব্য প্রদান করেন।
প্রধান অতিথি চট্টগ্রাম মা–শিশু ও জেনারেল হাসপাতালের ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. সুপর্ণা দে বলেন, জরুরি পরিস্থিতিতে নিরবচ্ছিন্ন রক্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে নিয়মিত রক্তদানের গুরুত্ব অপরিসীম। রক্তদান একটি মহৎ কাজ এবং এর মাধ্যমে জরুরি মূহুর্তে জীবন বাঁচানো সম্ভব হয়। তাই মানবতার খাতিরে আমাদের সবার উচিৎ নিজে রক্ত দান করা এবং অন্যকে উৎসাহিত করা।
এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামের সিওও সামির সিং বলেন, ব্লাড ট্রান্সফিউশন সেবায় সর্বোচ্চ মান বজায় রাখতে আমরা সর্বদা সচেষ্ট। আমাদের ব্লাড ব্যাংক আমাদের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। হেমাটোলজি অ্যান্ড বিএমটি সেন্টারের অ্যাসোসিয়েট কনসালটেন্ট ডা. মেজবা উদ্দিন চৌধুরি বলেন, বোন–ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট সেন্টারসহ বন্দরনগরীর একমাত্র হাসপাতাল হিসাবে আমরা উন্নত হেমাটোলজি সেবা প্রদান করছি। রক্তদান কেবল তাৎক্ষণিক ব্লাড ট্রান্সফিউশনের জন্যই নয় বোন–ম্যারো ট্রান্সপ্লান্টের মতো জটিল চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। উল্লেখ্য, এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামের ব্লাড ব্যাংক রক্ত সংগ্রহ, প্রক্রিয়াকরণ এবং সংরক্ষণের ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।