চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আফরোজা জহুর বলেন, বিগত বছরগুলোতে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে চসিকের সুনাম রয়েছে। আপনাদের সকলের আন্তরিকতার কারণে এই সুনাম অর্জিত হয়েছে। আমরা চাই এবারও সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মধ্যদিয়ে কোরবানির বর্জ্য দ্রুত অপসারণ করে সেই ধারাবাহিকতা বজায় থাকুক। কোরবানির পশু জবাইয়ের পর সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্য নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। এতে পর্যাপ্ত জনবল, ওয়াকি টকি, গাড়ি, পে লোডার, কন্টেইনার মোভার ও টমটম ভ্যানসহ প্রয়োজনীয় সকল সরঞ্জামের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কবি মাহাবুব উল আলম চৌধুরী সিটি কর্পোরেশন লাইব্রেরি ভবনের সম্মেলন কক্ষে পরিচ্ছন্ন ও প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভারপ্রাপ্ত মেয়র একথা বলেন। চসিক বর্জ্য স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মো. মোবারক আলীর সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, প্যানেল মেয়র মো. গিয়াস উদ্দিন, চসিক ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশরাফুল আমিন, সিটি মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আলী আকবর, নির্বাহী প্রকৌশলী মির্জা ফজলুল কাদের, তৌহিদুল ইসলাম, উপ–প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী, ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মো. সরফুল ইসলাম মাহি। ভারপ্রাপ্ত মেয়র বলেন, নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডকে ৭টি জোনে ভাগ করা হয়েছে। জোন প্রধানগণ কোন মহল্লায় কতো পশু জবাই হচ্ছে তার সঠিক তথ্য সংগ্রহ করে সে অনুপাতে পরিচ্ছন্ন কর্মীদের দায়িত্ব বণ্টন করবেন। পরিচ্ছন্ন কর্মীগণ দ্রুততার সাথে জবাইকৃত পশুর ময়লা–আবর্জনা, খড়কুটা সংগ্রহ করে পরিষ্কার করবেন। এ বিষয়ে ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে তদারকি করতে হবে। তিনি আরো বলেন, দ্রুত বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্যে ঈদের দিন চসিক দামপাড়া অফিসে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা থাকবে। নগরীর কোথাও ময়লা–আবর্জনা পড়ে থাকতে দেখলে কন্ট্রোল রুমে জানালে দ্রুত তা অপসারণ করা হবে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।