চার বছর বাঘহীন থাকায় চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় ২০১৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আনা হয় এক জোড়া বাঘ–বাঘিনী। আট বছরের ব্যবধানে এখন চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় বাঘের সংখ্যা ১৯টি। এর মধ্যে মধ্যে একটি বাঘিনীর গর্ভেই জন্মেছে ১৫টি শাবক। এদের মধ্যে মারা গেছে তিনটি শাবক। প্রায় ৯ বছর বয়সী এই বাঘিনীটি চিড়িয়াখানায় ‘পরী’ নামে পরিচিত। খবর বিডিনিউজের।
২০১২ সালের ৩০ অক্টোবর চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার বাঘিনী ‘পূর্ণিমা’ মারা যায় ক্যান্সারে। এরপর চার বছর বাঘশূন্য থাকে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা। ২০১৬ সালে ৩৩ লাখ টাকায় দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে সংগ্রহ করা হয় বেঙ্গল টাইগার প্রজাতির এক জোড়া বাঘ–বাঘিনী। ১১ ও ৯ মাস বয়সী এই জোড়ার নাম দেয়া হয় ‘রাজ–পরী’। ২০১৮ সালের ১৯ জুলাই রাজ–পরীর ঘরে প্রথমবারের মত তিনটি শাবকের জন্ম হয়। তার মধ্যে দুটি ছিল সাদা এবং একটি কমলা–কালো ডোরার। কমলা–কালো ডোরাকাটা শাবকটির নাম দেয়া হয় ‘জয়া’। সাদা দুই শাবকের মধ্যে একটি একদিন পরই মারা যায়। আর বেঁচে থাকা সাদা শাবকটির নাম দেওয়া হয় ‘শুভ্রা’। যেটি দেশের প্রথম সাদা বাঘ বলে দাবি চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের। সর্বশেষ গত ৯ এপ্রিল রাজ–পরী দম্পতির ঘরে আসে আরও তিনটি শাবক, যার মধ্যে একটি ছিল মৃত, বাকী দুইটি মেয়ে শাবক। এর আগে রাজ–পরীর ঘরে ২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর দুটি শাবকের জন্ম হয়। তার মধ্যে একটি মারা যায় পরদিন; অন্যটি কমলা–কালো বাঘিনী, মহামারীর শুরুতে জন্ম বলে এর নাম রাখা হয় ‘করোনা’। এরপর ২০২১ সালের ৬ মে রাজ–পরীর সংসারে আসে আরও তিন শাবক, এর মধ্যে দুটি বাঘ, একটি বাঘিনী; সবগুলোই কমলা–কালো ডোরার। ২০২২ সালের ৩০ জুলাই রাজ–পরী জন্ম দেয় চারটি শাবকের, যার সব গুলোই সাদা। যার তিনটি বাঘ ও একটি বাঘিনী। চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর শাহাদাত হোসেন শুভ বলেন, চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা থেকে দুইটি বাঘ রংপুর চিড়িয়াখানায় দিয়ে সেখান থেকে দুইটি জলহস্তী আনা হয়েছে। বর্তমান সময়ে চিড়িয়াখানায় বাঘের সংখ্যা ১৯টি। যার মধ্যে ১৩টি বাঘিনী ও ছয়টি বাঘ। এছাড়া ১৯টি বাঘের মধ্যে পাঁচটিই সাদা বাঘ বলে জানান তিনি।