অতি দ্রুত ড্রামের খোলা ভোজ্য তেল বিক্রি বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রামের নেতারা। গতকাল নগরীর সিআরবি চত্বর, বিআরটিসি স্টেশন এবং রেয়াজউদ্দীন বাজার এলাকায় পরিচালিত প্রচারণা কর্মসূচিতে এ দাবি জানানো হয়। এছাড়া ক্যাবের পক্ষ থেকে ৭ দফা দাবি জানানো হয়। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে– আইন প্রতিপালনে ব্যবসায়ীদেরকে কেমিক্যাল ড্রামের পরিবর্তে ফুড গ্রেডেট বোতল বা প্যাকে ভোজ্যতেল বাজারজাতকরণে বাধ্য করতে হবে। রিফাইন কোম্পানিগুলো যে সকল ড্রামে তেল সরবরাহ করে সেগুলোতে লেবেল ও উৎস শনাক্তকরণ তথ্য যুক্ত করতে হবে। সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারী রিফাইনারি ও অসাধু ব্যবসায়ীদের কঠোর আইনের আওতায় এনে যথাযথ শাস্তি প্রদান করতে হবে। প্রয়োজনে তাদের ব্যবসায়িক লাইসেন্স বাতিল করতে হবে। অস্বাস্থ্যকর অনিরাপদ ও ফুডগ্রেডবিহীন ভোজ্যতেল বাজারজাতকরণে বন্ধে ব্যবসায়ীদের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে। ড্রামের ভোজ্যতেলে স্বাস্থ্যক্ষতি সম্পর্কে নীতি নির্ধারক, উৎপাদক, সরবরাহকারী এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। সরকার, জনস্বাস্থ্যবিদ, নাগরিক সমাজ, জনপ্রতিনিধি, গণমাধ্যম, উন্নয়ন সহযোগীসহ সংশ্লিষ্ট সকলে মিলে ভোক্তাদের খোলা ভোজ্য তেলের পরিবর্তে বোতল বা প্যাকেটজাত ভোজ্যতেল গ্রহণে উৎসাহিত করতে হবে। ক্যাব যুব গ্রুপ চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি আবু হানিফ নোমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এসএম নাজের হোসাইন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর অ্যাডভোকেট রেহেনা বেগম রানু, ন্যাপ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মিথুল দাসগুপ্ত, ক্যাব মহানগরের যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম জাহাঙ্গীর, ক্যাব সদরঘাটের শাহীন চৌধুরী, ক্যাব জামালখানের সালাহউদ্দীন আহমদ, ক্যাব চান্দগাঁওয়ের মো. জানে আলম, ক্যাব পাহাড়তলীর হারুন গফুর ভূঁইয়া, উন্নয়ন কর্মী ফেরদৌসী বেগম মৌসুমী, সুমাইয়া আফরোজ, এডাব চট্টগ্রামের সমন্বয়কারী ফোরকান মাহমুদ, ক্যাব যুব গ্রুপের সদস্য ইমদাদুল ইসলাম, শুভ আহমদ শাকিব, মোহাম্মদ রায়হান, রাইসুল ইসলাম, আবরাব প্রমুখ।