শুল্ক অব্যাহতির মেয়াদ শেষে মিল মালিকরা ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর উদ্যোগ নিলেও তাতে আপত্তি জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি আয়োজিত মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, মিল মালিকদের এভাবে দাম বাড়ানোর সুযোগ নেই।
রোজার মাস সামনে রেখে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে গত ফেব্রুয়ারি মাসে ভোজ্যতেল, চিনি, চাল ও খেজুরের আমদানি শুল্ক কমিয়েছিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড–এনবিআর। সেখানে তেলের শুল্ক কমানো হয়েছিল ৫ শতাংশ, যা কার্যকর ছিল ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত। খবর বিডিনিউজের।
এর ওপর ভিত্তি করে গত ১ মার্চ থেকে সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১০ টাকা কমিয়ে ১৬৩ টাকা নির্ধারণ করেছিলেন মিল মালিকরা। রোজা সামনে রেখে মিল মালিকদের এমন সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছিলেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। তবে শুল্ক প্রত্যাহারের মেয়াদ শেষের দিন সোমবার ফের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের চিঠি দেয় বাংলাদেশ ভেজিটাবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। ‘ভোজ্যতেলের মূল্য ভ্যাট অব্যাহতি পূর্ববর্তী মূল্যে ফিরে যাওয়া প্রসঙ্গে’ শিরোনামে ওই চিঠিতে বলা হয়, শুল্ক অব্যাহতির বিষয়ে গত ৭ ফেব্রুয়ারি জারি করা এসআরওর মেয়াদ ১৫ এপ্রিল শেষ হচ্ছে বিধায় ১৬ এপ্রিল থেকে পাম তেল ও সয়াবিন তেল ভ্যাট অব্যাহতির আগের মূল্যে সরবরাহ করা হবে। ফলে এক লিটার বোতলের সয়াবিন তেল ১৭৩ টাকা, ৫ লিটারের বোতল ৮৪৫ টাকা এবং এক লিটার খোলা পাম তেল ১৩২ টাকায় বিক্রি হবে। রিপোর্টার্স ইউনিটির মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে মিলারদের ওই চিঠির বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভোজ্যতেলের দাম কোনো অবস্থাতেই আগের দামে ফিরে যাওয়ার সুযোগ নেই। ভ্যাট সুবিধার মেয়াদ যেহেতু শেষ হয়েছে, সুতরাং তেলের আন্তর্জাতিক মূল্য, আমদানি মূল্য এবং অন্যান্য বিষয় বিশ্লেষণ করে ট্যারিফ কমিশন দেখবে। দামটা কেমন হওয়া উচিত সেটা ট্যারিফ কমিশন দেখার পর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ঠিক করবে।
সরকারকে পাশ কাটিয়ে মিল মালিকরা মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়ে যেভাবে দাম ঘোষণা অবহিত করেছে, তা গ্রহণযোগ্য কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ধরনের কোনো চিঠি আমার হাতে আসেনি। আমি মন্ত্রণালয়ে গিয়ে খোঁজ নেব। তবে দাম বাড়ানোর সুযোগ নেই।