এবার ঈদে পর্যটক বরণে প্রস্তুত রয়েছে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার কোদালা বন বিটের সবুজ বনাঞ্চল এলাকায় বন বিভাগের অধীন শেখ রাসেল অ্যাভিয়ারি অ্যান্ড রিক্রিয়েশন পার্ক (পক্ষীশালা ও বিনোদন কেন্দ্র)। পর্যটকদের জন্য এই পার্কে বাড়তি আকর্ষণ আড়াই কিলোমিটার দীর্ঘ ক্যাবল কার। যেটি দেশের একমাত্র রোপওয়ে ক্যাবলকার। এই ক্যাবলকারে চড়ে পর্যটকরা লেক, সবুজ প্রকৃতি আর পাখিদের অভয়ারণ্য ঘুরে দেখার সুযোগ পাবেন। জানা যায়, চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের রাঙ্গুনিয়া রেঞ্জের কোদালা বিটের চন্দ্রঘোনা ও দক্ষিণ নিশ্চিন্তাপুরের প্রায় ২১০ হেক্টর বনভূমি নিয়ে শেখ রাসেল এভিয়ারি অ্যান্ড ইকো পার্ক স্থাপিত হয়েছে। ২০১১ সালের নভেম্বর মাসে বিনোদনপ্রেমীদের জন্য রাঙ্গুনিয়া উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নে কাপ্তাই সড়ক সংলগ্ন এই পার্কটি উদ্বোধন হয়। পার্কের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ বাংলাদেশের প্রথম রোপওয়ে ক্যাবলকার যা ২.৪ কিলোমিটার দীর্ঘ। উঁচুনিচু পাহাড়ের মাঝপথ দিয়ে বয়ে যাওয়া এ ক্যাবলকার এবার ঈদে বাড়তি আকর্ষণ যোগাবে পর্যটকদের। ক্যাবলকার ছাড়াও এই ঈদে বিনোদন প্রেমিদের আনন্দ দিতে আরও ব্যাপক আয়োজন রয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। পার্ক সংশ্লিষ্টরা জানান, পর্যটকরা ক্যাবলকার ছাড়া পার্কের নয়নাভিরাম নানা আর্কষণীয় ইভেন্ট উপভোগ করতে পারবেন।
পার্কজুড়ে সুবিশাল খাঁচায় বিভিন্ন প্রজাতের পাখি, প্রবেশদ্বারে কৃত্রিম লেকে হাঁস ও নানা জাতের জলচর পাখি ও পানকৌড়ির চঞ্চলতা, লেকের মাঝখানে দ্বীপের সাথে সংযোগ সেতুতে যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ নানা আকর্ষণীয় ইভেন্টের কারণে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পিপাসু মানুষের বিনোদনের জন্য শেখ রাসেল এভিয়ারি পার্ক ইত্যোমধ্যেই অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছে। ঈদ উপলক্ষে পর্যটক ও বিনোদনপ্রেমীদের জন্য বৃক্ষাচ্ছাদিত সবুজ বাগান আকর্ষণীয়ভাবে সাজানো হয়েছে। এই ব্যাপারে পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নাহিদ হাসান জানান, বর্তমানে পার্কের সবচেয়ে আকর্ষণীয় রোপওয়ে (ক্যাবলকার) ইভেন্টটি চালু রয়েছে। এই ঈদে পর্যটকদের জন্য তা বাড়তি আনন্দ জোগাবে। এছাড়া পুরো পার্কজুড়ে পর্যটকদের আনন্দ যোগাতে রয়েছে আরও নানা আকর্ষণ। এই ঈদে পার্কে পর্যটকদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনি।