দ্বিতীয় ইনিংসের দ্বিতীয় দিনশেষে লংকানরা ২১১ রানের লিড পেয়েছে। সেই লিড আরও বাড়িয়ে নেওয়ার আগেই আজ তৃতীয় দিনে লংকানদের দ্রুত অলআউট করার লক্ষ্য বাংলাদেশের। টাইগারদের পারফরম্যান্স ও তৃতীয় দিনের লক্ষ্য নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন ব্যাটিং কোচ ডেভিড হেম্প। তিনি বলেন, ‘কাল (আজ) সকালে দ্রুত উইকেট তুলে নিতে হবে। ওদের ২১১ রানের লিড হয়ে গেছে। লক্ষ্যটাকে ২৫০ রানের মধ্যে রাখতে চাই। পুরো দিনের কথা বললে বলব, ৫১ ওভার ব্যাট করে অলআউট হয়ে গেছি, এটা খুবই হতাশাজনক।’ বাংলাদেশের নতুন এই ব্যাটিং কোচ আরও বলেন, ‘৫১ ওভারের বেশি ব্যাট করতে পারলাম না, ব্যাপারটা খুবই হতাশাজনক। তবে কখনও কখনও এরকম হয়ে যায়। দিনের খেলা শেষ করার আগে আমরা ওদের ৫টি উইকেট ফেলতে পেরেছি। তবে আরও কিছু উইকেট তুলে নিতে পারলে ভালো হতো।’ স্বাগতিক ব্যাটারদের ব্যর্থতা নিয়ে কাজ করার কথা জানিয়েছেন হেম্প, ‘শ্রীলংকার পেসাররা দারুণ বল করেছে। ভালো লেংথে বল করেছে। আমার মনে হয় ব্যাটাররা ক্রিজে আটকে থাকার জন্য দুশ্চিন্তায় ছিল। আমরা এটা নিয়ে আজ কথা বলব। ওদের বোলারের মোকাবিলায় কীভাবে মানিয়ে নিতে হয় সেটা নিয়ে কথা বলতে হবে। আমরা রান করতে চাচ্ছি, তবে ক্রিজে একটু বেশি থমকে যেতে হচ্ছে। আবার এমন অনেক বল খেলছে যেগুলো ডিফেন্ড করা উচিৎ।’ এদিকে মুশফিকুর রহিমের মতো অভিজ্ঞ কেউ স্কোয়াডে না থাকাটা হতাশার বলে মনে করেন ব্যাটিং কোচ ডেভিড হেম্প। তবে এটিকে অন্যদের জন্য সুযোগ হিসেবেও দেখছেন তিনি। হেম্প বলেন, ‘অভিজ্ঞ কেউ না থাকা যেকোনো দলের জন্যই ক্ষতি। তবে মুশফিকের জায়গায় যে খেলছে, তার জন্য এটা ভালো সুযোগ। এই ইনিংসে দিপুর (শাহাদাত হোসেন) ফুট মুভমেন্ট ভালো ছিল। ভালো ছিল অ্যাটাকিং কিংবা ডিফেন্ডিং মুভমেন্টও, এটা ভালো লক্ষণ। এই সিনিয়র ক্রিকেটাররা না থাকলে কি হবে সেটাও ভাবতে হবে। একসময় না একসময় তো এটা হবেই। তাই মুশফিকের মতো কারও অনুপস্থিতি অবশ্যই হতাশার। তবে এগুলো মেনে নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে।’ হেম্প আরো বলেন, ‘ওরা কিন্তু ওয়ানডে ফরম্যাটের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ খেলছিল। টেস্টের আগে লাল বলে কিছু অনুশীলন হয়েছে। লাল বল সাদা বল এগুলো শুধু রঙের ব্যাপার। তারা তো খেলার মধ্যেই ছিল। দিনশেষে আপনার প্রস্তুতিটাই মুখ্য। সাদা বলে বেশি সময় টিকে থাকা জরুরি, এইটুকু ভিন্নতা আছে। রান করার মানসিকতাটা ভিন্ন। তাছাড়া খেলতে হয় একইভাবে, শুধু বলের রঙটাই আলাদা।’ সাদা বলের প্রস্তুতি নিয়েও লাল বলে ভালো করা সম্ভব বলে মনে করেন এই ব্যাটিং কোচ, ‘আপনি দ্বিমত পোষণ করতে পারেন তবে আমার কাছে বিষয়টা হলো মাইন্ডসেট। আমার মনে হয় না বিপিএল ডিপিএল খেলে এখানে মানিয়ে নিতে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা।খেলোয়াড়রা অনায়াসেই মানিয়ে নেয়। শুধু জানতে হবে আপনার অফ স্টাম্প কোথায়। আপনার প্রতিপক্ষ কারা। তারা কতটা হুমকি। শিডিউল তো থাকবেই, আপনি তো ক্রিকেট খেলছেন। লাল বল, সাদা বল নিয়ে এত মাতামাতির কিছু নেই। খেলোয়াড়রা ভালো খেলছে, ভালো প্রস্তুতি নিয়েছে। আমরা তাদের প্রস্তুতিতে আস্থা রাখছি।’