রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী এলাকায় ৩৫ বছর আগে পারিবারিক দ্বন্দ্বে সগিরা মোর্শেদ নামের এক গৃহবধূকে গুলি করে হত্যার মামলায় দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। ঢাকার তৃতীয় বিশেষ দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আলী হোসাইন গতকাল বুধবার আলোচিত এ মামলার রায়ে বাকি তিন আসামিকে খালাস দিয়েছেন।
দণ্ডিত দুই আসামি হলেন আনাস মাহমুদ ওরফে রেজওয়ান এবং মারুফ রেজা। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তাদের হাজতকালীন মেয়াদ সাজা থেকে বাদ যাবে বলে আসামিপক্ষের অন্যতম আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল জানিয়েছেন। অপরাধে সম্পৃক্ততা প্রমাণিত না হওয়ায় এ মামলার অভিযোগ থেকে খালাস পেয়েছেন সগিরার ভাসুর ডা. হাসান আলী চৌধুরী (৭১), তার স্ত্রী সায়েদাতুল মাহমুদা ওরফে শাহিন (৬৫) এবং মন্টু মণ্ডল ওরফে মিন্টু। আসামিদের মধ্যে কারাগারে থাকা আনাস মাহমুদ ও মারুফ রেজাকে এদিন রায়ের সময় কারাগারে হাজির করা হয়। জামিনে থাকা বাকি তিন আসামিও আদালতে উপস্থিত হন। রায় ঘোষণা শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে দুই আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়। আসামি মন্টু মণ্ডল বাদে বাকি দুই আসামির খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে বাদীপক্ষ উচ্চ আদালতে যাবে বলে জানিয়েছেন তাদের আইনজীবী ফারুক আহাম্মদ। খবর বিডিনিউজের।
দীর্ঘ বিচারে এ মামলার ৫৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়। গত ২৫ জানুয়ারি রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে আলোচিত মামলাটি রায়ের পর্যায়ে আসে। এরপর দুই দফা পিছিয়ে গতকাল রায় দিল আদালত। ১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই সগিরা মোর্শেদ রাজধানীর বেইলি রোডের ভিকারুননিসা নূন স্কুল থেকে দ্বিতীয় শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে সারাহাত সালমাকে আনতে যান। সিদ্ধেশ্বরী রোডে মোটরবাইকে আসা আততায়ীর গুলিতে তিনি নিহত হন। ওই দিনই রমনা থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন সগিরা মোর্শেদের স্বামী সালাম চৌধুরী। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী রিকশাচালক ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত হিসেবে মন্টু ও মারুফ রেজাকে শনাক্ত করলে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।