ছোট পর্দার অভিনেত্রী শারমিন আঁখি। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে অভিনয় করছেন তিনি। চট্টগ্রামে বেড়ে ওঠা আঁখির মঞ্চে যাত্রা শুরু ‘অরিন্দম নাট্য সমপ্রদায়’র মধ্য দিয়ে। এই দলের নিয়মিত প্রযোজনা তারাশংকর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘কবি’ নাটকের মূল চরিত্র ‘বসন’ করেই আলোচনায় আসেন তিনি। পরবর্তীতে টিভি নাটকে নাম লেখান এই অভিনেত্রী। এরপর শুধু এগিয়ে যাওয়ার গল্প। তার ক্যারিয়ারে যখন সুসময় চলছে ঠিক তখনই একটি দুর্ঘটনায় থমকে যায় সবকিছু। এলোমেলো হয়ে যায় শারমিন আঁখি সব স্বপ্ন! একটি নাটকের শুটিং চলাকালীন বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় তাকে। অভিনেত্রীর শরীর ৩৫ শতাংশ দগ্ধ হয়। খবর বাংলানিউজের।
২০২৩ সালের ২৮ জানুয়ারি শুটিংয়ে আহত হন শারমিন আঁখি। দুই মাস চিকিৎসা নিয়ে একই বছরের ২৮ মার্চ বাসায় ফিরেন তিনি। এখন ঘরবন্দি চলছে তার জীবন যুদ্ধ! এই ভালো, এই খারাপ– এভাবেই চলছে অভিনেত্রীর দিন–রাত। ধীরে ধীরে সুস্থতার পথে আঁখি। যার লাইট–ক্যামেরা আর অ্যাকশনে দিন পার হতো তিনি এক বছর ধরে ঘরবন্দি। সেই আঁখি ক্রমশ নিজেকে নতুন করে তৈরি করছেন। আবারও নতুন করে নতুনভাবে কাজে ফিরছেন। যে মঞ্চ দিয়ে তার ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল সেই মঞ্চ দিয়েই দ্বিতীয় ইনিংসে নবউদ্যমে ফিরছেন শারমিন আঁখি। গ্রুপ থিয়েটার উৎসবে চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আজ শনিবার সন্ধ্যায় অরিন্দম নাট্য সমপ্রদায়ের নাটক ‘কবি’ মঞ্চস্থ হবে। তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘কবি’ উপন্যাসের নাট্যরূপ দিয়েছেন সাইমন জাকারিয়া। নির্দেশনায় শামীম হাসান। নাটকটি অরিন্দমের ২৯তম প্রযোজনা। এর কেন্দ্রীয় চরিত্র নিতাই কবিয়াল হওয়ার স্বপ্নে বিভোর। বিবাহিতা ঠাকুরঝি ও বাজনাদার ঝুমুর দলের বসন– এই দুই নারী চরিত্র নিতাইকে নিয়ে যায় অসমাপ্ত জীবন জিজ্ঞাসার উত্তরের খোঁজে। নাটকটিতে ‘বসন’ চরিত্রে অভিনয় করেছেন শারমিন আঁখি। এ নাটক দিয়েই নতুন করে কাজে ফিরছেন তিনি। নিতাই চরিত্রে পঙ্কজ রনি এবং ঠাকুরঝি চরিত্রে জান্নাতুল নাঈম। এছাড়া আরও অভিনয় করেছেন সাইফুল ইসলাম বাবু, সাবেরা সুলতানা, নাজিম উদ্দিন চৌধুরী, আকবর রেজা, সজীব সেন, বিজয় দাস, পূজা প্রমুখ। নবোদ্যমে ফিরতে পেরে উচ্ছ্বসিত শারমিন আঁখি। তিনি বলেন, পুরোপুরি সুস্থ হতে আরও সময় লাগবে। এক বছর ধরে কাজহীন হয়ে ঘরবন্দি। এখনো শারীরিক দুর্বলতা আছে। পুরোপুরি সেরে উঠতে আরও সময় লাগবে। কাজে ফেরার জন্য মনটা ছটফট করছে। শরীর কিছুটা অনুকূলে থাকায় কাজে ফিরছি।