জন্মদিনে কার কাছে নিবিড় গহন যাই
থামো চঞ্চল–হুল্লোড়, কার কাছে মাধুকরী মোহন চাই
কার কাছে না পেলেও পাই সকল মুদ্রা অমৃতযোগ।
প্রশয়ভরা শৈশবানন্দ যারা দিয়েছিল স্নেহ–চুম্বন রোগ
বিভ্রম মধুর–প্রজাপতিকে ফুল, ফুলকে প্রজাপতি–পাখা
সুন্দর নদী’র চৈতন্য জলে কৈশোরক স্নানে মাখা
রূপ নহরে কবিতা–প্রিয়ে আবেগানুরক্ত ঢাকা, এক ঠাঁই।
কেকের আয়োজন মেঘের বেলুন তারা সাজ–সাজ রথে
গোধুলি আভায় ‘সূর্য–মোম’ জ্বেলে মগন আকাশ পথে
মহাজাগতিক বনস্পতি–আমিও আছি প্রাণঘড়ি টিক্টিক্
ভালোবাসে কি বাসে না দ্বন্দ্বে দিগ্বিদিক রাখী এ হাতটায়।
জন্মতিথিতে মনচোখে ঘোর মৃত্তিকাতে
বাজে বাঁশি একা, বিশ্ব–জীবনমঞ্চ প্রপঞ্চ প্রাতে
অশ্রুবাষ্পে দীনার্ত হৃদয়ে খুঁজি মা’কে সাক্ষাতে।