নির্বাচন জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে হবে : সিইসি

| রবিবার , ১৫ অক্টোবর, ২০২৩ at ৪:৫৫ পূর্বাহ্ণ

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচন জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে হবে। গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হওয়ার অর্থ নির্বাচন অবাধ এবং সুষ্ঠু হয়েছে। গতকাল শনিবার আগারগাঁও নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে বিভাগীয় কমিশনার, উপমহাপুলিশ পরিদর্শক, পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসক পুলিশ সুপার, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের নির্বাচন সংক্রান্ত ব্যবস্থাপনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। খবর বাসসের।

সরকারি কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিয়ে সিইসি বলেন, প্রায় ১২শ নির্বাচন আমরা করেছি। সেখানে প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যে সহযোগিতা পেয়েছি, এতে সত্যিই কৃতজ্ঞ। দৃঢ় প্রত্যাশা থাকবে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আপনারা রাষ্ট্রের, সরকারের কর্মচারী হিসেবে দলীয় চিন্তাভাবনার ঊর্ধ্ব থেকে পক্ষপাতহীন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করে, জনগণের আস্থা অর্জনে সক্ষম হবেন। কোনো অনিয়ম, সহিংসতা হবে না, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি। তিনি বলেন, সিইসি হিসেবে অনুরোধ থাকবে, অত্যন্ত দক্ষতার সাথে নির্বাচনটা ফেয়ার হয়েছেএটা জনগণকে দেখাতে হবে। জনগণকে দেখাতে হবে, ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পেরেছে। পুলিশ এবং নির্বাহী প্রশাসনের ভূমিকা ও গুরুত্ব নির্বাচনে অপরিসীম। আমি অনেককেই বলি, যখন আমরা সরকার বলি, সরকার বলতে আমরা এসপি এবং ডিসিকেই বুঝি, ছোট বেলা থেকেই, শৈশব থেকেই। ছোট্ট যে সরকারটা পড়ে আছে কেবিনেটে, ওটার সঙ্গে আমাদের জনগণের সংস্রব ওভাবে হয় না। কাজেই আপনাদের চিত্তে ধারণ করতে হবে যে, আপনারা সরকারকে ধারণ করছেন। আপনারা সরকারি কর্মকর্তা, প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা। এটাও কিন্তু মস্তিস্কে ধারণ করতে হবে যে, এতো গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত হওয়া আমি কেবল ভাগ্যের কথা বলবো না, আপনাদের গুণের ব্যাপার।

আপনারা কোয়ালিফাই করে এই দায়িত্ব পেয়েছেন। এটা অহংকার করার বিষয় নয়, সন্তুষ্টি প্রকাশ করার বিষয়। কারণ ইউ হ্যাভ টু বি ইক্যুয়াল টু দি রেসপন্সিবিলিটি।

সিইসি বলেন, নির্বাচন ঘনিয়ে এসেছে। এতে কোনো সন্দেহ নেই। নির্বাচন আয়োজন করা কঠিন কর্মযজ্ঞ। খুব সহজ নয়। চাইলাম হয়ে গেল, এরকম নয়। আপনারা যারা জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপার এবং আপনাদের সহকর্মীদের উদয়াস্ত পরিশ্রম করতে হবে। তফসিল ঘোষণার পর অনেকটা ঘুমই হারাম হয়ে যাবে, আমাদেরও। যেহেতু এই দায়িত্ব আপনাদের এবং আমাদের ওপর অর্পিত হয়েছে, কাজেই দায়িত্বটা নিষ্ঠার সাথে পালন করতে হবে। এ সময় নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান, রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর ও মো. আনিছুর রহমান এবং ইসি সচিবালয়ের সচিব মো. জাহাংগীর আলমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকাজেম আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজে গল্প আহরণ প্রতিযোগিতা
পরবর্তী নিবন্ধহাত ধোয়ার সামাজিক আন্দোলন বেগবান করতে এগিয়ে আসার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর