ফিলিস্তিনিদের পক্ষে সমাবেশ নিষিদ্ধ করে ইউরোপ মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দমন করছে : তথ্যমন্ত্রী

| শনিবার , ১৪ অক্টোবর, ২০২৩ at ৫:৫৬ পূর্বাহ্ণ

তথ্য ও সমপ্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে সভাসমাবেশ নিষিদ্ধের ঘোষণা মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর চরম হস্তক্ষেপ।

গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর কমলাপুরে শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে শেখ রাসেল জাতীয় শিশুকিশোর পরিষদ আয়োজিত অনূর্ধ্ব ১৬ ফুটবল প্রতিযোগিতার সমাপনী ও ‘কনসার্ট ফর পিস অ্যান্ড জাস্টিস’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।

তথ্য ও সমপ্রচার মন্ত্রী বলেন, আমি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দেখে আশ্চর্য হলাম যে, ফ্রান্স, জার্মানি, অস্ট্রিয়াসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে যে কোনো ধরনের সভাসমাবেশ, মিছিলশোভাযাত্রা বা কথা বলাও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যারা মতপ্রকাশের স্বাধীনতার কথা বলেন, তাদের দেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে এভাবে যে দমন করা হচ্ছে, এরপর কি তারা মতপ্রকাশের স্বাধীনতার কথা বলার কোনো নৈতিক অধিকার রাখে, প্রশ্ন রাখেন তথ্যমন্ত্রী হাছান। খবর বাসসের।

তিনি বলেন, যে কারো যে কোনো কিছুর বিরুদ্ধে কথা বলতে পারা, সেটি হচ্ছে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা। কিন্তু ফিলিস্তিনিদের পক্ষে কথা বলার অধিকার বন্ধ করে দিয়ে তারা মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে দমন করেছে।

হামাসইসরায়েল যুদ্ধ নিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ সবসময়ই যুদ্ধ ও হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে, সেটি ইসরায়েলে হোক বা ফিলিস্তিনে হোক। কিন্তু হামাসের হামলার পর ইসরায়েল ফিলিস্তিনের সাধারণ মানুষকে জিম্মি করেছে, পুরো গাজা উপত্যকার ১১ লাখ মানুষকে জিম্মি করেছে, সেখানে খাদ্য, পানি, জ্বালানি সমস্ত সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে, যেটি যুদ্ধাপরাধ এবং তারা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করছে।

শেখ রাসেল জাতীয় শিশুকিশোর পরিষদের মহাসচিব কে এম শহিদ উল্যার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন ও সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন আহমদ রতন।

রাজনৈতিক বৈরিতার সময় যাত্রা শুরু করে শেখ রাসেল জাতীয় শিশুকিশোর পরিষদ ৩৫ বছর ধরে দেশের শিশুকিশোরদের মানবিক বিকাশে ভূমিকা রাখছে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা মায়ের মমতায় এই সংগঠনকে ধারণ করেছেন, এ জন্য তার প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতার শেষ নেই।

মন্ত্রী এ সময় ফুটবলকে সর্বজনীন সহজলভ্য অত্যন্ত উত্তেজনাপূর্ণ খেলা হিসেবে অভিহিত করেন ও তার বাল্যকালে নানা কৌশলে চট্টগ্রাম স্টেডিয়ামে ফুটবল খেলা দেখার স্মৃতিচারণ করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রধানমন্ত্রীর নৈশভোজে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে নির্মিত সিনেমার শিল্পীরা
পরবর্তী নিবন্ধতত্ত্বাবধায়ক সরকার মরে ভূত হয়ে গেছে : কাদের