নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। গতকাল বিকালে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগরের সব সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত যৌথ সভায় দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে আগামী ৩ অক্টোবর সাভারের আমিন বাজারে শান্তি ও উন্নয়ন মহাসমাবেশ, ৭ অক্টোবর বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধন, ১০ অক্টোবর পদ্মা সেতুর রেলসেতুর রেল চলাচল উদ্বোধন ও মেট্রোরেলের মতিঝিল অংশ উদ্বোধন এবং ২৮ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু টানেলের উদ্বোধন উপলক্ষে চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ সুধী সমাবেশ করবে। খবর বাংলানিউজের।
বিএনপির আন্দোলন ঘিরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের শঙ্কা : বিএনপির আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতির আশঙ্কা করছে আওয়ামী লীগ। বিএনপি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটিয়ে সরকারকে বিপদে ফেলতে পারে বলেও আশঙ্কা দলটির। গতকাল বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত দলের সম্পাদকমণ্ডলীর যৌথ সভায় এসব আশঙ্কা কথা জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, এখন সময়টা খারাপ। রাজনীতিতে একটা চ্যালেঞ্জের মধ্যে আছি। তাদের জনসমর্থন নেই। সমর্থন যদি থাকত, তাহলে এতদিন তারা সরকারের বারোটা বাজাত।
ঢাকায় শক্ত অবস্থান গড়ে তুলতে দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, বিএনপি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটিয়ে সরকারকে বিপদে ফেলতে চায়। আমাদের শপথ নিতে হবে এসব সন্ত্রাস আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করব। বাংলার মাটিতে নির্বাচন হবে, সহিংসতা আমরা ঐক্যবদ্ধ মোকাবিলা করে নির্বাচন করব। কোনো সহিংসতাকে আমরা প্রশ্রয় দেব না।
তিনি বলেন, লন্ডন থেকে বসে বসে নাটাই ঘোরানো হচ্ছে। ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে যা ঘটেছে, তার পুনরাবৃত্তি ঘটানোর চক্রান্ত আছে। ষড়যন্ত্র দেশে আছে, বিদেশেও আছে। তিনি বলেন, ১/১১ এর মতো, ২০০১ সালের মতো অস্বাভাবিক সরকার প্রতিষ্ঠা করার এক সুগভীর চক্রান্ত চলছে। তাদের কথা, ক্ষমতায় না যাই, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় থাকতে দেব না, হত্যা করতে হবে। তাদের শত্রু শেখ হাসিনা। তাদের টার্গেটই হলো শেখ হাসিনা। এজন্য তারা চক্রান্ত করছে।