চবিতে ভাঙচুর মামলায় অভিযুক্ত ১২ জন ছাত্রলীগের

আজাদী অনলাইন | সোমবার , ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ at ১১:১৩ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের বাসভবন ও পরিবহন পুলের গাড়ি ভাঙচুর মামলায় অভিযুক্ত আসামিদের মধ্যে বেশিরভাগই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বিভিন্ন উপ গ্রুপের কর্মী।

গত ৭ সেপ্টেম্বর রাতে শাটল ট্রেনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬ শিক্ষার্থী আহত হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পয়েন্টে হামলা চালায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

ঘটনার একদিন পর ৯ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কে এম নূর আহমদ ও নিরাপত্তা প্রধান শেখ মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক বাদি হয়ে হাটহাজারী থানায় দু’টি মামলা দায়ের করেন।

সাতজন করে দুই মামলায় ১৪ জনের নাম উল্লেখ থাকলেও নাম প্রকাশ নিয়ে লুকোচুরি শুরু হয়।

মামলার এজাহার অনুযায়ী উপাচার্যের বাসভবনে ভাঙচুরের মামলার আসামিরা হলো ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শাকিল হোসেন আইমুন, সংস্কৃত বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী দীপন বণিক দীপ্ত, শিক্ষা ও গবেষণা বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের রিয়াদ হাসান রাব্বি, ইংরেজি বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নুর মোহাম্মদ মান্না, ইতিহাস বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সৌরভ ভূইয়া, পালি বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আমিনুল ইসলাম ও পদার্থবিদ্যা বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শফিকুল ইসলাম।

পরিবহন দফতরে ভাঙচুর মামলার আসামিরা হলো দর্শন বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেন, পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. ইমরান নাজির ইমন, ফারসি ভাষা ও সাহিত্যের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আনিসুর রহমান, ইতিহাস বিভাগের ২০১৮-১৯ বিভাগের শিক্ষার্থী নাসির উদ্দিন মো. সিফাত উল্লাহ, সংস্কৃত বিভাগের ২০১৮-১৯ বিভাগের অনিক দাশ, বাংলা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী অনিরুদ্ধ বিশ্বাস এবং একই বিভাগ ও শিক্ষাবর্ষের আজিমুজ্জামান।

জানা গেছে, দুই মামলায় নাম উল্লেখিত ১৪ আসামির মধ্যে ৬ জন ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক সংগঠন সিক্সটি নাইন গ্রুপের, ৫ জন চুজ ফ্রেন্ড উইথ কেয়ার (সিএফসি) গ্রুপের, ১ জন বিজয় গ্রুপের এবং ২ জন সাধারণ ছাত্র।

তাদের মধ্যে শাকিল হোসেন আইমুন, দীপন বণিক দীপ্ত, নুর মোহাম্মদ মান্না, ইমরান নাজির ইমন ও আজিমুজ্জামান শাখা ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক চুজ ফ্রেন্ডস উইথ (সিএফসি) এর রাজনীতিতে সম্পৃক্ত। এছাড়া রিয়াদ হাসান রাব্বি, সৌরভ ভূইয়া, শফিকুল ইসলাম, আনিসুর রহমান, নাসির উদ্দিন, মো. সিফাত উল্লাহ ও অনিরুদ্ধ বিশ্বাস বগিভিত্তিক সিক্সটি নাইনের কর্মী। এছাড়া অনিক দাস বগিভিত্তিক বিজয়ের কর্মী, সাজ্জাদ হোসেন সাবেক শিক্ষার্থী ও আমিনুল ইসলাম সাধারণ শিক্ষার্থী।
হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, দুই মামলায় ১৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। যেহেতু মামলা হয়েছে, এর প্রেক্ষিতে তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর আগে গতকাল রবিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নূরুল আজিম সিকদার মামলার বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দু’টি মামলা করেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিভিন্ন ফুটেজ, ভিডিও ও ঘটনাস্থল বিশ্লেষণ করে যাদেরকে পেয়েছে তাদের নাম প্রকাশ করেছে। যারা এ ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এ মামলায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা কোনোভাবে হয়রানির শিকার হবে না বলেও তিনি আশ্বাস দেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা
পরবর্তী নিবন্ধলব্রিকেন্টস্ মার্চেন্ট এসোসিয়েশনের নবনির্বাচিত কমিটির শপথ ও অভিষেক