নানা নাটকীয়তার পর অবশেষে আজ মাঠে গড়াচ্ছে এশিয়া কাপ ক্রিকেটের ১৬তম আসর। আর প্রথম দিনেই মাঠে নামছে স্বাগতিক পাকিস্তান। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপ খেলতে আসা নেপাল। এবারের এশিয়া কাপের স্বাগতিক পাকিস্তান হলেও ভারতের বিরোধিতার মুখে শ্রীলংকাকেও স্বাগতিক করা হয়েছে। শুধু তাই নয় বেশিরভাগ ম্যাচই হবে শ্রীলংকায়। জয় দিয়ে ১৫ বছর পর ঘরের মাঠে এশিয়া কাপ শুরু করতে চায় পাকিস্তান। অন্য দিকে এশিয়া কাপে নিজেদের অভিষেক ম্যাচে বিশ্বকে চমকে দিতে মরিয়া নেপাল।
এ’ গ্রুপের ম্যাচটি মূলতান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটে। সর্বশেষ ২০০৮ সালে ঘরের মাঠে এশিয়া কাপ আয়োজন করেছিল পাকিস্তান। ১৫ বছর পর এবার ঘরের মাঠে এশিয়া কাপ আয়োজনের সুযোগ পায় দেশটি। কিন্তু রাজনৈতিক কারণে ভারতীয় দল পাকিস্তান সফরে রাজি না থাকায় হাইব্রিড মডেলে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবারের এশিয়া কাপ। হাইব্রিড মডেলের কারণে টুর্নামেন্টের ১৩টি ম্যাচের মধ্যে মাত্র ৪টি ম্যাচ পাকিস্তানে এবং বাকী ৯টি হবে শ্রীলংকার মাটিতে। নিজেদের সবগুলো ম্যাচ শ্রীলংকায় খেলবে ভারত। ১৭ সেপ্টেম্বর টুর্নামেন্টের ফাইনাল হবে শ্রীলংকার কলম্বোতে। ঘরের মাঠে চার ম্যাচের মধ্যে পাকিস্তানের খেলা রয়েছে মাত্র দু’টি। নেপালের পর সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচ (যদি সুপার ফোরের টিকিট পায়) খেলবে তারা। এশিয়া কাপের মঞ্চে পাকিস্তানের পারফরমেন্স খুব বেশি ভালো নয়। ২০০০ ও ২০১২ সালে, মাত্র দু’বার শিরোপা জিতেছিল তারা। গত আসরে টি–টোয়েন্টি ফরম্যাটের ফাইনালে উঠলেও শিরোপা জিততে পারেনি পাকিস্তান। সদ্য শ্রীলংকার মাটিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিনি ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ৩–০ ব্যবধানে জিতেছে পাকিস্তান। আফগানদের হোয়াইটওয়াশ করে দ্বিতীয়বারের মতো ওয়ানডে র্যাংকিংয়ের শীর্ষেও উঠে পাকিস্তান। ব্যাটিং–বোলিং দুই বিভাগেই ভারসাম্যপূর্ণ দল পাকিস্তান। দারুণ ফর্মে রয়েছেন ব্যাটার ইমাম উল হক, অধিনায়ক বাবর আজম। মিডল অর্ডারে পাকিস্তানের ভরসা মোহাম্মদ রিজওয়ান, আগা সালমান, ইফতিখার আহমেদ, শাদাব খান। আফগানিস্তানের সিরিজে সেই প্রমাণ রেখেছেন তারা। বিশ্বের অন্যতম সেরা বোলিং লাইন আপ পাকিস্তানের। বিপক্ষ দলের বড় চিন্তার কারণ পাকিস্তানের তিন পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি, হারিস রউফ ও নাসিম শাহ। অলরাউন্ডার হিসেবে দলের ভরসা শাদাব, ফাহিম আশরাফ, মোহাম্মাদ নাওয়াজ ও মোহাম্মদ ওয়াসিম। এদিকে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে নেপাল। ২০১৮ সালে ওয়ানডে মর্যাদা পাবার পর এখন অবধি ৫৭টি ম্যাচ খেলেছে তারা। এরমধ্যে ৩০টিতে জয় ও ২৫টিতে হার রয়েছে। ১টি করে ম্যাচ টাই ও পরিত্যক্ত হয় নেপালের। ২০১৯ সালের বিশ্বকাপের পর ৫১টি ম্যাচ খেলেছে নেপাল। যেখানে ২৭টিতে জয় ও ২২টিতে হেরেছে তারা। এখন পর্যন্ত আইসিসির পূর্ণ সদস্য দলগুলোর মধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, জিম্বাবুয়ে ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেছে নেপাল।