ফটিকছড়ির হেয়াকোঁ বাজার শেড উচ্ছেদ অভিযানের প্রতিবাদে চার ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করেছে ব্যবসায়ীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে চট্টগ্রাম–হেয়াকোঁ সড়ক ও রামগড়–ফেনী আঞ্চলিক সড়কের হেয়াকোঁ বাজারের চৌরাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বিক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা। এসময় ফেনী–খাগড়াছড়ি আঞ্চলিক সড়ক ও চট্টগ্রাম হেয়াকোঁ সড়কে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ে যাত্রীরা। এসময় ব্যবসায়ীরা প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের শ্লোগান দিতে থাকে।
বিক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা জানান, উপজেলার দাঁতমারা ইউনিয়নের হেয়াকোঁ বাজারে ১৯৯৭ সালে তৎকালীন সরকারের সময়ে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য সরকারিভাবে শেড নির্মাণ করে। কিন্তু স্থানীয় একটি সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের জন্য নির্মাণ করা সরকারি বাজার শেডের জায়গাটি তাদের দাবি করে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় বাজারশেড থেকে তাদেরকে উচ্ছেদের প্রচেষ্টা করে। সে সময় প্রান্তিক ব্যবসায়ীরা জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করার পর উচ্ছেদ কার্যক্রম বন্ধ হয়। কিন্তু হঠাৎ করে গতকাল বিকাল তিনটার দিকে ফটিকছড়ি উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) এটিএম কামরুল ইসলামের নেতৃত্বে প্রশাসন পুনরায় বাজার শেড থেকে বিনা নোটিশে প্রান্তিক এসব ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ করা শুরু করে। উচ্ছেদের সময় ব্যবসায়ীদের তরকারীসহ বিভিন্ন প্রকার মুদি মালামাল তছনছ করে ফেলে দেয়া হয় বলে জানান ব্যবসায়ী সসিতির সভাপতি বাবলু মজুমদার। এক পর্যায়ে ব্যবসায়ীরা ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিবাদ শুরু করলে সহাকারী কমিশনার ভূমি সেখান থেকে চলে যান। উচ্ছেদ কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে শরীফ নামে এক ব্যবসায়ীকে আটক করে নিয়ে যায়। এ ছাড়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি বাবলুকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ করেন ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদের মুখে সন্ধ্যায় আটক শরীফকে ছেড়ে দেয়া হয়।
এদিকে, বিক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা ৪ ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখলেও প্রশাসনের কোনো কর্মকর্তা সেখানে উপস্থিত হয়নি। পরে ব্যবসায়ীরা শুক্রবার বিকালে আবার প্রতিবাদ সমাবেশে ঘোষণা দিয়ে ব্যারিকেড তুলে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা মজিবুল হক মজুমদার, শ্রমিক লীগ নেতা আলী আক্কাস ভুট্টো, বাজার কমিটির সভাপতি বাবলু মজুমদার, ব্যবসায়ী নুরুল আলমসহ অনেকে।
এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভূমি) এটিএম কামরুল ইসলাম বলেন, হাটবাজারের নিয়ম অনুযায়ী ব্যবসায়ীদের শ্রেণী বিন্যাস সংক্রান্ত উচ্ছেদ অভিযানে গিয়েছি। এতে কোন ব্যবসায়ী সংক্ষুব্ধ হলে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করতে পারে। তবে সড়ক অবরোধ করতে পারে না।