যৌতুকের দাবিতে দুই সন্তানের মাকে শ্বাসরোধে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ

স্বামীসহ ৪ জনকে আসামি করে মামলা

চন্দনাইশ প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার , ৩ আগস্ট, ২০২৩ at ৫:৫১ পূর্বাহ্ণ

চন্দনাইশে যৌতুকের দাবিতে ২ সন্তানের এক জননীকে মারধর ও শ্বাসরোধে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগীর মা, ভাইবোন ও এক সাংবাদিক তাকে উদ্ধার করতে গেলে তাদেরকেও বেদম মারধর করে তার স্বামী ও শ্বশুর পক্ষের লোকজন। খবর পেয়ে চন্দনাইশ থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাদের উদ্ধার করে। এ ব্যাপারে গতকাল বুধবার সকালে ভুক্তভোগী গৃহবধূ জান্নাতুল নাঈমা (২২) বাদি হয়ে স্বামীসহ ৪ জনকে আসামি করে চন্দনাইশ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

থানায় দায়েরকৃত অভিযোগে জানা যায়, ২০১৮ সালে সাতকানিয়া উপজেলার ছদাহা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড নওরগ্যা পাড়ার আবদুল মাবুদের কন্যা জান্নাতুল নাঈমার সঙ্গে চন্দনাইশ উপজেলার বরকল ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড কুলালডাঙ্গা গ্রামের ইসহাক মিয়ার পুত্র মো. ইসলাম মিয়ার বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ৪ বছর বয়সী ও ৮ মাস বয়সী দুটি পুত্র সন্তান রয়েছে। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে যৌতুকের জন্য স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন নাঈমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতে থাকে। এক প্রকার বাধ্য হয়ে দরিদ্র বাবার কাছ থেকে সে কয়েক দফায় কিছু টাকা এনে স্বামীর হাতে তুলেও দেয়। তবু স্বামীর চাহিদা দিন দিন বাড়তেই থাকে। সর্বশেষ গত ৩১ জুলাই রাতেও তুচ্ছ বিষয়ে তাকে নির্যাতন ও মারধর শুরু করে। এসময় পরনের ওড়না গলায় পেঁছিয়ে তাকে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা চালায়। পরবর্তীতে সে অজ্ঞান হয়ে পড়লে তার বাপের বাড়িতে খবর পাঠানো হয়। খবর পেয়ে ওইদিন রাত সাড়ে ১০টায় ভুক্তভোগী জান্নাতুল নাঈমার মা উম্মে হালিমা, বড় বোন হালিমা আকতার (২৫), ছোট ভাই মো. রিয়াদ (১৮) ও স্থানীয় সাংবাদিক নাজিম উদ্দীন (৩২) ঘটনাস্থলে গেলে তাদেরও ব্যাপক মারধর করা হয়। খবর পেয়ে চন্দনাইশ থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাদের উদ্ধার করে। পরবর্তীতে আহতরা দোহাজারী ও সাতকানিয়া হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়।

চন্দনাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। অভিযোগের ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসীতাকুণ্ডে স্কুল মিল্ক ফিডিং উদ্বোধন
পরবর্তী নিবন্ধমহানগর যুবদলের বিক্ষোভ মিছিল