টেকনাফের হ্নীলায় আটক এক মাদক কারবারিকে ছিনিয়ে নিতে বিজিবির সাথে সংঘর্ষে জড়িয়েছে মাদক কারবারিরা। গতকাল দুপুরের এ ঘটনায় গোলাগুলিতে এক রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৭ বিজিবি সদস্যসহ অন্তত ১৫ জন। নিহত মো. রফিক (৪৮) হ্নীলার ২৪ নম্বর লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা।
টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ ৭ জনকে আইওএম হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। আর গুরুতর আহত বিজিবি সদস্য আবদুল মালেককে সরাসরি কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানা যায়।
টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্ণেল মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আহমেদ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল বুধবার আনুমানিক ১২টার সময় টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ লেদা বিওপির একটি চোরাচালান প্রতিরোধ টহলদল চিহ্নিত মাদককারবারী মো. জাফর আলমকে ২০ হাজার পিসের অধিক ইয়াবা ট্যাবলেটসহ আটক করতে সক্ষম হয়। টহলদল আটক জাফর আলমকে নিয়ে লেদা বাজার অতিক্রমকালে তার সহচরেরা মাইকিং করে তাদের আত্মীয় স্বজন দিয়ে রাস্তা অবরোধ করে। এ সময় জাফর আলমের ভগ্নীপতি ডাকাত হারুন তার দলবল নিয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ বিজিবি ও ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্থানীয় জনতার উপর গুলিবর্ষণসহ হামলা করে এবং মাদক কারবারি জাফর আলমকে ছিনিয়ে নিতে চেষ্টা করে। এ সময় বিজিবি টহলদল আত্মরক্ষার্থে কয়েক রাউন্ড গুলি করে এবং সন্ত্রাসীদের ছত্রভঙ্গ করে আসামি ও মাদকসহ বিওপিতে ফেরত আসে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সন্ত্রাসীদের হামলায় ৭ জন বিজিবি সদস্য গুরুতর আহত হয় যাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের সবাইকেই হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। সন্ত্রাসীদের নির্বিচার গুলিতে স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি হতাহত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তাদের আঘাতের বৈশিষ্ট্য পর্যালোচনায় ছররা গুলি বা দেশীয় বন্দুকের আঘাত বলে প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রতীয়মাণ হয়।
এছাড়া আটক মো. জাফর আলমকে জব্দকৃত ইয়াবা ট্যাবলেটসহ নিয়মিত মামলার মাধ্যমে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয় এবং উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত জ্ঞাত ও অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।