দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) দায়ের করা ব্যাংকের গ্রাহকের ৬৩ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় এক ব্যাংক কর্মকর্তাসহ (সাময়িক বরখাস্ত) দুইজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার (২২ জুন) চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ মুনসী আবদুল মজিদের আদালত এ রায় দেয়।
কারাদণ্ডের আদেশ পাওয়া আসামিরা হলো ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিডেটের (ইবিএল) নগরীর ওআর নিজাম রোড শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক ইফতেখারুল কবির ও তার সহযোগী আজম চৌধুরী।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৪ সালের নভেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত ইফতেখারুল কবির ও আজম চৌধুরী পরস্পর যোগসাজশে জালিয়াতির মাধ্যমে ইবিএলের গ্রাহক মিজানুর রহমানের ৬৩ লাখ ৬৬ হাজার টাকা আত্মসাত করেন।
এ ঘটনায় ২০১৯ সালের ১৪ অক্টোবর তৎকালীন দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মো. হোসাইন শরীফ মামলা করেন।
২০২২ সালের ২৯ মে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদক-এর তৎকালীন সহকারী পরিচালক মাহমুদা আক্তার আদালতে অভিযোগপত্র দেন। ২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু হয়।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী অ্যাডভোকেট কাজী ছানোয়ার আহমেদ বলেন, “১১ জন সাক্ষীর স্বাক্ষ্যপ্রমাণে ব্যাংকের গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ব্যাংক কর্মকর্তা ইফতেখারুল কবিরকে বিভিন্ন ধারায় ২১ বছরের কারাদণ্ড এবং ৩৬ লাখ ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় ইফতেখারুল কবির আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাকে সাজা পরোয়ানা মূলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, “অপরদিকে আজম চৌধুরীকে ১২ বছরের কারাদণ্ড ও ৩৫ লাখ ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। রায় ঘোষণার সময় আজম আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। অন্য দুই আসামি সামিউল সাহেদ চৌধুরী ও মাহমুদুল হাসানকে খালাস দেওয়া হয়েছে।”