চকরিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে নালিশি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আদালত বাদীর অভিযোগ আমলে নিয়ে দ্রুত মামলা রেকর্ড করার জন্য চকরিয়া থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন। গতকাল সোমবার দুপুরে আদালতে উপস্থিত হয়ে এই নালিশি অভিযোগ দায়ের করেন চকরিয়ার লক্ষ্যারচর ইউনিয়নের সাত নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর লক্ষ্যারচরস্থ সিকদার পাড়ার আবদুচ ছালামের ছেলে মো. ফরিদুল আলম। নালিশি অভিযোগে অন্য দুই অভিযুক্ত হলেন– উত্তর লক্ষ্যারচরের মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে হাবিবুর রহমান বেদার ও লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি ইউনিয়নের চার নম্বর ওয়ার্ডের হাটখোলা মুড়ার মৃত নূর আহমদের ছেলে নাজেম উদ্দিন। বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. শাহ আলম দৈনিক আজাদীকে বলেন, ব্যবসায়িক কাজের কথা বলে বাড়িতে ডেকে নিয়ে বন্দুক ঠেকিয়ে জোরপূর্বক খালি স্টাম্পে স্বাক্ষর নেওয়া, ইট বিক্রির টাকা কেড়ে নেওয়া, ৮০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি, বাড়িতে জিম্মি করে রাখার অপরাধে আদালতে এই অভিযোগ দায়ের করা হয়। দীর্ঘ শুনানি এবং বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড শেষে আদালতের বিচারক মো. জাহিদ হোসাইন দ্রুত থানায় মামলা রেকর্ড করার নির্দেশ প্রদান করেন চকরিয়া থানার ওসিকে।
এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার ওসি চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, আমি এখনো পর্যন্ত (গতকাল সন্ধ্যা) এই বিষয়ে কিছুই জানি না। তাই কোনো মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন। এদিকে এ বিষয়ে অভিযুক্ত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী গত সন্ধ্যায় দৈনিক আজাদীকে বলেন, আমি এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করবো না। তবে আমিও আইনিভাবে বিষয়টি মোকাবেলা করবো।