আইসিসির ভবিষ্যৎ সফর সূচি (এফটিপি) অনুযায়ী, ২০২৭ সাল পর্যন্ত ইংল্যান্ডে বাংলাদেশের কোনো টেস্ট নেই। তবে আগামী দুই বছরের মধ্যেই সেখানে খেলতে পারে বাংলাদেশ এবং সেই টেস্ট হতে পারে ক্রিকেট তীর্থ লর্ডসে। ব্রিটিশ দৈনিক দ্যা টেলিগ্রাফের খবর অনুযায়ী এফটিপির বাইরে বাংলাদশ ও জিম্বাবুয়েকে টেস্ট খেলার আমন্ত্রণ জানানোর পরিকল্পনা নিয়েছে ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। ২০২৪ ও ২০২৫ সালে ইংলিশ গ্রীষ্মে এফটিপিতে আছে ৫টি করে টেস্ট ম্যাচ। কিছুটা জায়গা তাই ফাঁকা আছে। সেই সুযোগটাই কাজে লাগাতে চাইছে ইসিবি। যদিও ২০২৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আছে এই সময়েই। তবে সম্ভাব্য ফাঁকা সময় খোঁজা হচ্ছে।
এই দুই বছরে একটি করে বাড়তি টেস্ট তারা খেলতে পারে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের সঙ্গে। টেস্ট ক্রিকেটকে সুরক্ষা দিতে এবং আরও জনপ্রিয় করতে ও প্রাসঙ্গিক রাখতে ইসিবি এই উদ্যোগের কথা ভাবছে বলে জানিয়েছে পত্রিকাটি। টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার পর প্রথম ১০ বছরে দুই দফায় ইংল্যান্ডে টেস্ট সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ। কিন্তু ২০০৫ ও ২০১০ সালে ওই দুই সফরের পর দ্বিপাক্ষিক কোনো সিরিজে আর বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানায়নি তারা। গত ১৩ বছরের মধ্যে শুধু ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ও ২০১৯ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডে খেলতে পেরেছে বাংলাদেশ। লর্ডসে প্রতি বছর অন্তত দুটি করে টেস্ট ম্যাচ আয়োজনের চুক্তি আছে। ২০০০ সাল থেকে প্রতি বছর তা হয়ে আসছে। ২০২০ সালে কোভিড মহামারীর বছর ছাড়া। সমপ্রতি এখানে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের টেস্টেও টিকিটের চাহিদা ছিল প্রবল। এটিই কর্তৃপক্ষকে আরও উৎসাহী করে তুলছে যে, প্রতিষ্ঠিত ক্রিকেট শক্তির সঙ্গে খেলা না হলেও লোকের আগ্রহ আছে। লর্ডস স্টেডিয়াম যাদের দায়িত্বে, সেই মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাবের প্রধান নির্বাহী গাই ল্যাভেন্ডার টেলিগ্রাফকে বলেন, দুটি করে টেস্ট আয়োজনের ধারা ধরে রাখতে চান তারা।