কুয়াশার জলে পবিত্র করেছি পদচিহ্ন
আমি এখন যেতে পারবো!
কতদূর যেতে হবে, তবে চলো এবার যাই!
এতো যে মোহ, এতো যে মায়া,
এতো যে বর্নিল নন্দিত কায়া,
এই জীবনের সকল কীর্তি–অকীর্তি
এসব কিছুই এখন আর আমার নয়।
আকাশের নীল ছোঁয়া, মেঘমালার লুকোচুরি খেলা,
দিগন্তজোড়া রংধনুর বর্ণিল ভালোবাসা,
সব আজ উত্তরাধিকার খতিয়ানে হস্তান্তর করে দিয়েছি!
তবে কেন আর পিছে ফিরে চাওয়া, চলো যাই,
যাই দ্বিতীয় জীবনের অভিসারে।
এই জীবনের যত অপূর্ণতা, যত কষ্ট কথা,
নষ্ট জলের অশ্রুগাথা আর নির্বাচিত অবহেলা–
সব কিছু থাক, সবকিছু গোছগাছ করে রেখে দাও,
সাদা কাফনের পুঁটলি বেঁধে পুঁতে দাও
মাটির পৃথিবীর বুকে।
অন্ততকাল আমি ঘুমিয়ে যাবো,
দ্বিতীয় কালের মায়াময় লোভে!
ঘূর্ণায়মান পৃথিবী নিজ কক্ষপথে
আর সূর্যের চারিদিকে ঘুরে ঘুরে চিরন্তন দোলনায়
আমাকে দোল দিতে দিতে ঘুম পাড়িয়ে রাখবে।
মহাকালের রাজর্ষি রথের প্রতিক্ষায়।
কোনো না কোনো সময় আমি পৌঁছে যাবো,
দ্বিতীয় জীবনে! মহামিলনের মহা উৎসবে!