চলমান এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার মধ্যেই সাগরে ঘূর্ণিঝড় মোখা সৃষ্টি হওয়ায় কর্তৃপক্ষ বলছে, ঝড়ের গতিপ্রকৃতি ও সার্বিক অবস্থা বুঝে পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আজ বৃহস্পতিবার (১১ মে) সকালে ঘূর্ণিঝড় মোখার অবস্থান ছিল বাংলাদেশ উপকূল থেকে মোটামুটি ১,২০০ কিলোমিটার দূরে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোসাগরে।
এর গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে আবহাওয়াবিদরা যে পূর্বাভাস দিয়েছেন তাতে আগামী ১৪ মে রবিবার সকাল থেকে দুপুরের মধ্যে এ ঝড় বাংলাদেশের কক্সবাজার এবং মিয়ানমারের কিয়াউকপিউয়ের মধ্যবর্তী এলাকা দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দেশের উপকূলীয় জেলাগুলোতে ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে প্রচুর বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে উপকূলীয় নিচু এলাকা প্লাবিত হতে পারে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে। আবার ব্যাপক বৃষ্টিপাতের কারণে পাহাড়ি ঢল ও ভূমিধসের ঝুঁকিও তৈরি হয়।
সারাদেশে গত ৩০ এপ্রিল শুরু হওয়া এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা এখন মাঝপথে। ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার সম্ভাব্য দিন হিসেবে যে রবিবারের কথা বলা হচ্ছে সেদিনও পরীক্ষা রয়েছে।
সেদিন সকাল ১০টা থেকে বিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষার্থীদের পদার্থ বিজ্ঞান, মানবিক বিভাগের পরীক্ষার্থীদের বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের পরীক্ষার্থীদের ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিষয়ের পরীক্ষা হওয়ার কথা।
আর পরদিন সোমবার রয়েছে গার্হস্থ্য বিজ্ঞান (তত্ত্বীয়), কৃষি শিক্ষা (তত্ত্বীয়), সংগীত, আরবি, সংস্কৃত, পালি, শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া এবং চারু ও কারুকলা বিষয়ের পরীক্ষা।
পূর্বাভাস ঠিক থাকলে শনিবার রাত থেকেই ঝড়ের প্রভাব পড়বে উপকূলীয় এলাকায়। সেক্ষেত্রে রবিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত নির্ধারিত এ পাবলিক পরীক্ষার ভাগ্য কী হবে সেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে কর্তৃপক্ষকে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, “পরিস্থিতি ভয়াবহ হলে তখনকার পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত জানাব। আমরা পরীক্ষা চালু রাখতে পারব কি না, স্থগিত করব কি না, আমাদের করণীয় কী, এগুলো মোটামুটি আমাদের আগে থেকে প্রস্তুতি নেওয়া থাকে, আমরা তখন জানিয়ে দেব।”